ব্যাংকের পর এবার শেয়ারবাজারেও ঋণের সুদ হার বেঁধে দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ বুধবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসির এ সিদ্ধান্তের ফলে ঋণ নিয়ে যেসব বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগ করেছেন, তাঁরা স্বস্তি পাবেন। এই প্রথমবারের মতো শেয়ারবাজারে শেয়ার কেনার বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার বেঁধে দেওয়া হলো।
এখন থেকে শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের বিপরীতে ১২ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না।
বিএসইসি জানিয়েছে, এখন থেকে শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের বিপরীতে ১২ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে যে ঋণ নিয়ে থাকেন, সেটি মার্জিন ঋণ হিসেবে পরিচিত। সাধারণত ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার এনে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্জিন ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যে সুদে টাকা ধার নেবে, তার সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ বাড়তি সুদ যোগ করতে পারবে মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে। তবে মার্জিন ঋণের এ সুদহার কোনোভাবেই ১২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
গত এপ্রিলে ব্যাংক ঋণের সুদহার একক অঙ্কে নামিয়ে আনার পর থেকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা মার্জিন ঋণের সুদহার কমানোর দাবি করে আসছিলেন।
গত এপ্রিলে ব্যাংক ঋণের সুদহার একক অঙ্কে নামিয়ে আনার পর থেকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা মার্জিন ঋণের সুদহার কমানোর দাবি করে আসছিলেন। শেয়ারবাজারে বর্তমানে মার্জিন ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের মধ্যে। ছুটির দিনে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকলেও এ সুদ গণনা হয়। এখন বিএসইসি বলছে, মার্জিন ঋণের সুদহার কিছুতেই ১২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।