করোনাভাইরাসের কারণে ঋণ আদায় না হলেও তা খেলাপি করতে পারবে না ব্যাংকগুলো। এর ফলে ঋণ আদায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এবার এপ্রিল ও মে এই দুই মাসের ঋণের সুদও স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, তাদের আপাতত এই দুই মাসের সুদ গুনতে হবে না। সুদ নিলেও ব্যাংক তা আয় খাতে নিতে পারবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলােকে এ নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
এখন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংকের সকল প্রকার ঋণের ওপর ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আরোপিত/আরোপযোগ্য সুদ স্থানান্তর করতে হবে 'সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে'। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্লকড হিসাবে স্থানান্তরিত সুদ সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতার নিকট হতে আদায় করা যাবে না এবং এমন সুদ ব্যাংকের আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।
যদি কোনো ব্যাংক ইতিমধ্যে সুদ আয়খাতে স্থানান্তর করে থাকে, তা রিভার্স এন্ট্রির মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে। ব্লকড হিসাবে রক্ষিত/রক্ষিতব্য সুদ সমন্বয়ের বিষয়ে পরবর্তীতে অবহিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন খাতে প্রণোদনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন, কিন্তু এই ভাইরাসের কারণে এই সময়ে ঋণের সুদ বেড়ে গেছে বলে চিন্তা করবেন না। তিনি এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন, যাতে সুদ স্থগিত থাকে।
এরপরই এ নির্দেশনা এলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে।