বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটে) সাবেক ছাত্র আরিয়ান কবিরের স্টার্টআপ গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস সাড়ে চার কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। যা দেশীয় মুদ্রায় ৫৩১ কোটি টাকার সমান। প্রায় দুই বছর আগে এই প্রতিষ্ঠান ২০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস কাজের নতুন ও বিকাশমান প্রতিষ্ঠান গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি। এটির অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিয়ান কবির। ২০২০ সালে কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান পিআর নিউজওয়্যারের তথ্যানুযায়ী, গ্রে ম্যাটার রোবোটিকসের জন্য সাড়ে চার কোটি ডলারের বি সিরিজ বিনিয়োগের নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়েলিংটন ম্যানেজমেন্ট। বিনিয়োগকারী হিসেবে রয়েছে এনজিপি ক্যাপিটাল, ইউক্লিডিয় ক্যাপিটাল, অ্যাডভান্স ভেঞ্চার পার্টনারস ও এসকিউএন ভেঞ্চার পার্টনারস। পাশাপাশি বর্তমান বিনিয়োগকারী থ্রিএম ভেঞ্চারস, বি ক্যাপিটাল, বো ক্যাপিটাল, ক্যালিব্রেট ভেঞ্চারস, ওসিএ ভেঞ্চারস ও সুইফ ভেঞ্চারস এই নতুন বিনিয়োগে যুক্ত আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই লাখ কোটি ডলারের উৎপাদনশিল্পে শ্রমিকের ঘাটতি প্রকট। সে কারণে ক্রয়াদেশের পাহাড় জমছে। শিল্পের কাজের মধ্যে অনেকগুলো বিপজ্জনক। অনেকগুলোতে আবার ব্যাপক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ফলে ৩৮ লাখ শ্রমিকের পদ শূন্য থেকে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে গ্রে ম্যাটার রোবোটিকস।
গ্রে ম্যাটার রোবোটিকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিয়ান কবির এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা কর্মশক্তির কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য গ্রে ম্যাটার প্রতিষ্ঠা করেছি।’ তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সফটওয়্যার দিয়ে শিল্পের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছি। বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় আমরা শিল্পের জটিল কাজের শ্রমিক ঘাটতির বিষয়টির সুরাহা করেছি।
গ্রে ম্যাটার রোবোটিকসে সেবা হিসেবে রোবোটিকস (RaaS)-এর সেবা দিয়ে থাকে। দুই বছর আগে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরিয়ান কবির বলেছিলেন, আমাদের গ্রাহক কিন্তু রোবট কিনে নেয় না। আমাদের রোবটগুলো তারা ‘শ্রমিক’ হিসেবে তাদের প্ল্যান্টে ব্যবহার করে। ফলে গ্রাহকদের কিন্তু রোবট কেনার এককালীন খরচ বহন করতে হয় না।
আরিয়ান কবির আজ দুপুরে প্রথম আলোকে টেলিফোনে জানান, নতুন বিনিয়োগ দিয়ে তাঁরা তিন ধরনের কাজ করবেন। প্রথমত, নতুন ধরনের পণ্য ও সেবা উদ্ভাবন করবেন। দ্বিতীয়ত, যেসব প্রতিষ্ঠান তাঁদের রোবট ব্যবহার করে, তারা নতুন নতুন চাহিদার সৃষ্টি করছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া এই অর্থের একটা অংশ ব্যবহার করা হবে নতুন গ্রাহক সৃষ্টি ও মার্কেটিংয়ের কাজে।