ঈদে ৩১ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে বিশেষ খাবার দেবে গ্রামীণফোনের কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে গ্রামীণফোন। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারি মানুষের ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। মানুষ এবারের ঈদুল ফিতর সাদামাটাভাবে উদযাপন করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে এবার ঈদুল আজহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রামীণফোনের কর্মীরা। ‘গ্রামীণফোন ঈদের খুশি’ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা উৎসব ভাতার একটি অংশ দিয়ে তহবিল গঠন করেছেন। যা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ঈদের বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হবে।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোন ও বিদ্যানন্দ ২৮ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হুসাইন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর দাস, গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক প্রমুখ।
জিপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ নিম্ন আয়ের মানুষসহ লাখো মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। গ্রামীণফোনের কর্মীরা মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো জরুরি।
এ নিয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আয় কমে যাওয়া, চাকরি হারানো, দোকান ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা এবং আয়ের পথ পুরোপুরি বন্ধ হওয়াসহ নানাভাবে কোভিড-১৯ দেশের অধিকাংশ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের জোগান পেতে অধিকাংশ দরিদ্র মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকার ধারাবাহিকভাবে তাদের নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামীণফোন। এ সংকটের সময়ে মানুষকে সহায়তা ও তাদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের সঙ্গে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ির ৩১ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে ঈদের বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হবে। খাবার সরবরাহের এ পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধানে থাকবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এ বিশেষ খাবার সরবরাহপ্রক্রিয়া শুরু হবে ঈদের দিন থেকে, যা চলতে পারে ০৩ আগস্ট পর্যন্ত।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হুসাইন বলেন, ‘ঈদের তাৎপর্য হলো ত্যাগের মহিমা নিয়ে সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোন পরিবারের সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের।’
ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের কর্মীরা বিদ্যানন্দকে ৪৬ লাখ ২০ হাজার ৮৫৬ টাকা দিয়েছে।