পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে রাজধানীর প্রধান প্রধান বিপণিবিতানগুলো খুলছে না। শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু ছোট-বড় শপিংমল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাভিত্তিক ব্যবসায়ী সমিতি দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে নিউমার্কেট, মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট, মোতালিব প্লাজা, মিরপুর ১ নম্বর থেকে ১১ নম্বর সেকশন এবং গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া এলাকার ব্যবসায়ীরা।
জানতে চাইলে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যে ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তা মেনে দোকান খোলা কঠিন। এর ওপর মার্কেটের দুই কিলোমিটারের বাইরের ক্রেতারা আসতে পারবে না। ফলে ক্রেতা তেমন একটা পাওয়া যাবে না। তাই ব্যবসায়ীরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে দোকান–পাট বন্ধ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ঈদের কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতভাবে দোকান–পাট খোলার সুযোগ দেওয়া হবে জানান। এরপর ১০ মে থেকে বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার বলা হয়, ক্রেতারা নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনা-কাটা করতে পারবেন।
মিরপুর ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সদস্যসচিব আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে জানান ঈদের আগে মিরপুর এলাকার শপিংমল, মার্কেট খোলা হবে না।
ঢাকার হাতিরপুল এলাকার মোতালিব প্লাজার দোকানমালিক সমিতি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দোকান বন্ধ রাখার খবর জানিয়েছে। একই খবর জানিয়েছে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার ও বঙ্গ ইসলামী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এসব মার্কেটে জুতা, গার্মেন্টস কাপড় পাইকারি বিক্রি করা হয়। সারাদেশ থেকে এসব মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
ঢাকার গাউসিয়া, চাঁদনীচক, বদরুদ্দোজা, ইস্টার্ন মল্লিকা ইত্যাদি মার্কেট খুলবে কি না তা জানা যাবে আজ শনিবার। এর বাইরে পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য পণ্যের কিছু চেইন শপ খুলতে পারে বলে জানা গেছে।
এ দিকে বাংলাদেশ দোকানমালিক সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া প্রথম আলোকে জানান, ঢাকার মৌচাক ও আনারকলি মার্কেটও ঈদের আগে খুলবে না। তিনি বলেন, পুলিশ যে ১৪টি শর্ত দিয়েছে তা মেনে মার্কেট খোলা কঠিন।