পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আবার চড়ল বাজারদর। এক সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় ২৫ টাকা বেড়েছে। রসুন ও আদার দাম বেশ চড়া। রোজার মাঝামাঝিতে কমে যাওয়া চিনির দামও আবার বাড়তি।
অবশ্য স্বস্তি এসেছে সবজির দামে। ডিমও বেশ সস্তা দরে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ঈদে সবজি ও ডিমের চাহিদা তেমন একটা থাকে না। অবশ্য পেঁয়াজের দামও কিছুটা কম।
বাজারে রোজার শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা ছিল। এরপর তা কমে ১২৫-১৩০ টাকা পর্যন্ত নামে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। বিক্রেতারা জানান, বুধবারও প্রতি কেজি মুরগি ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লারের পাশাপাশি বেড়েছে কক মুরগির দামও। প্রতি কেজি তা ২৮০ টাকায় উঠেছে, যেটা রোজার মাসের মাঝামাঝি ২৫০ টাকা পর্যন্ত নেমেছিল বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
খামার পর্যায়েও মুরগির দাম বেড়েছে। তবে খুচরা বাজারের মতো ততটা নয় বলে জানান পোলট্রি খামার রক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন। তিনি বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় খামার পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫ টাকার মতো বেড়ে ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অবশ্য কক মুরগির কেজিপ্রতি দাম ৫ থেকে ৭ টাকার বেশি বাড়েনি বলে জানান তিনি।
>কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে
ব্রয়লারের পাশাপাশি বেড়েছে কক মুরগির দামও
রসুন ও আদার দাম বেশ চড়া
চিনির দামও কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা
খন্দকার মো. মহসিন বলেন, ঈদে চাহিদা বাড়ে। ব্যবসায়ীরাও বাড়তি খরচ মেটানোর জন্য একটু বেশি দাম রাখার চেষ্টা করেন। এ কারণেই মুরগির বাজার বাড়তি।
চিনির দাম বাড়লে সেটা সবার আগে বোঝা যায় কারওয়ান বাজারে। সেখানকার খুচরা বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, এত দিন প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনি তাঁরা ২ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে পারতেন। এখন তা ১০০ টাকা বেশি। ফলে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২ টাকা। কারওয়ান বাজারের বড় দোকানে প্রতি কেজি চিনি ৫৪-৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
চীনা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দামও বেশ চড়া। চীনা আদা ১২০ টাকা ও ইন্দোনেশিয়ার আদা ১৮০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। পেঁয়াজের প্রতি কেজি দর ৩০ টাকার আশপাশেই আছে।
বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য বেগুনের দাম কিছুটা বাড়তি।