ইভ্যালির তথ্য–উপাত্ত চেয়ে বিভিন্ন সংস্থায় দুদকের চিঠি

ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সংস্থাটির সচিব মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
দুদক সচিব বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। তাই অনুসন্ধানের প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য–উপাত্ত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অগ্রগতি হয়নি।

ইভ্যালি নিয়ে শুধু দুদক নয়, অন্য সংস্থাগুলোও কাজ করছে জানিয়ে মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, অন্য সংস্থাগুলোর তদন্তের অগ্রগতি, তাদের পদক্ষেপগুলোও অনুসন্ধানের স্বার্থে আমলে নেবে দুদক।
ইভ্যালির মাধ্যমে মানি লন্ডারিং–সংক্রান্ত অপরাধ বা জনগণ বা রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি কতটুকু হয়েছে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান দুদক সচিব।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটি ইভ্যালি থেকে প্রথম দফায় কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। আরও তথ্য-উপাত্তের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) ইত্যাদি সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে খোঁজ নিতে দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবার চিঠি পাঠাবে বলেও জানা গেছে।

এদিকে গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এর আগে ইভ্যালি গত ১৯ আগস্ট ইভ্যালি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডি দিয়েছেন। বাকি ৫৪৩ কোটি টাকা কোম্পানিটির চলতি দায়।

ইভ্যালি নিজের ব্র্যান্ড মূল্য নিজে নির্ধারণ করেছে ৪২৩ কোটি টাকা। আরও জানা গেছে, দায়ের বিপরীতে এর চলতি সম্পদ রয়েছে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর সম্পত্তি, স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি মিলিয়ে রয়েছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক জুন মাসে ইভ্যালির ওপর এক প্রতিবেদন তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার।