দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাগুলোর (ইপিজেড) রপ্তানি বেড়েছে। সদ্য বিদায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৫২ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইপিজেডগুলো। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৭৯ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ রপ্তানিমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রায় পৌনে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ইপিজেডগুলোর মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮৫ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৮ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। ইপিজেডগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সূত্রে রপ্তানির এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বেপজা জানিয়েছে, দেশের আটটি ইপিজেডের মধ্যে গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ রপ্তানি করেছে চট্টগ্রাম ইপিজেড বা সিইপিজেড। সিইপিজেড এককভাবে প্রায় ২২৬ কোটি ডলার বা ১৭ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। আর সর্বনিম্ন তিন কোটি ৩২ ডলার বা ২৬২ কোটি টাকার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে নীলফামারী জেলায় অবস্থিত উত্তরা ইপিজেড।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ইপিজেডগুলোতে নতুন করে ১৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ইপিজেডগুলোতে যেখানে ৪১২টি চালু শিল্প ছিল, সেখানে গত বছর শিল্পের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২৮টি। এ ছাড়া পুরোনো কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানও তাদের উৎপাদন কার্যক্রম বাড়ানোর ফলে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে বলে মনে করছেন বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিন্তে আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই ইপিজেডে নতুন নতুন শিল্প চালু হচ্ছে। পাশাপাশি পুরোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন বাড়াচ্ছে।’
বর্তমানে দেশে আটটি ইপিজেড রয়েছে। এগুলো হচ্ছে চট্টগ্রামের সিইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড, কুমিল্লা ইপিজেড, মংলা ইপিজেড, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ও নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড।
বেপজা জানিয়েছে, বর্তমানে ইপিজেডগুলোতে ৪২৮টি শিল্প চালু অবস্থায় ও ১৩৫টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।