এসইএলের আবাসন প্রকল্প

ইট-কাঠ-পাথরের শহরে শান্তির নীড়

সাভারের ডগরমোড়ায় এসইএলের নতুন প্রকল্প সিটি আর্কেড
ছবি: এসইএলের সৌজন্যে

রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোড দিয়ে দ্য স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (এসইএল) ছায়ানীড় প্রকল্পে প্রবেশ করলে প্রথমেই মনে হয়, চোখটা যেন জুড়িয়ে গেল। পাশাপাশি পাঁচটি ভবন নিয়ে গড়ে ওঠা এসইএল ছায়ানীড় কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্পের ঠিক মাঝখানে একটি মাঠ। মাঠের চারপাশে ফুলের বাগান। মাঠে রয়েছে শিশুদের খেলার নানা আয়োজন। সন্তানের খেলাধুলা ও মনোরঞ্জন নিয়ে যাঁদের চিন্তা, তাঁদের জন্য এসইএল ছায়ানীড় হতে পারে আদর্শ স্থান।

বলা যায়, ছায়ানীড়ের অবস্থান ঢাকা মহানগরীর ঠিক মাঝখানে। প্রকল্পটি মহাখালী বাস টার্মিনালের পেছনে। বাস টার্মিনালের পাশের রাস্তা দিয়ে যেমন এ প্রকল্পে প্রবেশ করা যায়, তেমনি তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের নিপ্পন বটতলা মোড় দিয়েও যাওয়া যায়। এই প্রকল্প থেকে গুলশান ও হাতিরঝিল খুবই কাছে। আবার মহাখালী বাস টার্মিনালের পাশ দিয়ে মূল সড়কে প্রবেশ করে বনানী-উত্তরা ও বিমানবন্দরে যাওয়াও সহজ। তাই যাতায়াতের এই ব্যবস্থা এখানে বসবাসের প্রধান সুবিধা।

কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্পে সাধারণত যা থাকে, এখানেও তা–ই রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ আছে কমিউনিটি হল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, গ্রন্থাগার, জিমনেসিয়াম, মসজিদ, পশু জবাইয়ের স্থান ও মৃতদেহ গোসল করানোর ব্যবস্থা। তবে এখনকার বাস্তবতায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে খেলার মাঠ। কারণ, ঢাকা নগরে বসবাসরত সব মানুষই চান, শিশুরা যেন কিছুটা খোলামেলা পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে।

এই প্রকল্পে মোট পাঁচটি ভবন। গ্রাউন্ড ফ্লোরসহ ভবনগুলো ১০ তলাবিশিষ্ট। প্রতিটি ফ্ল্যাটে আছে উন্নতমানের ফিটিংস। কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্প হলেও প্রতিটি ভবনের মাঝে যথেষ্ট খালি জায়গা রাখা হয়েছে। ফলে সব ফ্ল্যাটেই আলো-বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রয়েছে।

রাজধানীর মহাখালীর ছায়ানীড় প্রকল্প

ছায়ানীড়ের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে সুপরিসর ছাদ। ছাদে উঠলে দক্ষিণ দিকে গুলশান লিংক রোড পর্যন্ত দেখা যায়। পশ্চিম দিকে আছে মহাখালী বাস টার্মিনাল। দক্ষিণ দিক খোলা থাকায় ছাদে সব সময়ই বাতাস মেলে। ফলে বাসিন্দারা চাইলে বিকেলে বা সন্ধ্যায় ছাদেও কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন।

প্রকল্পটির কাজ শেষ। এ প্রকল্পে ফ্ল্যাট আছে মোট ১৭৪টি। এসব ফ্ল্যাটের আয়তন সর্বনিম্ন ১ হাজার ২৬১ থেকে ১ হাজার ৯১৬ বর্গফুট। এরই মধ্যে বেশ কিছু ফ্ল্যাট বিক্রিও হয়ে গেছে। বেশ কয়েকজন সেখানে বসবাসও শুরু করেছেন।

এসইএল সিটি আর্কেড

এসইএলের আরেকটি প্রকল্প সাভারের ডগরমোড়ায় সিটি আর্কেড। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী সিআরপি সড়কের পাশেই এটির অবস্থান। এটি অবশ্য পুরোপুরি আবাসিক ভবন নয়, ১৪ তলা এই ভবনের প্রথম চারতলা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মিত, বাকি ১০ তলা আবাসিক। এই ভবনে আবাসিক ফ্ল্যাট আছে মোট ১০৮টি।

তবে আবাসিক ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ভবনে প্রবেশের জন্য আলাদা পথ আছে। ছাদে আছে শিশুদের খেলার জায়গা। তবে বড়দের মন খারাপ করার কারণ নেই। তাঁরা চাইলে ব্যাডমিন্টন খেলতে পারবেন, সেই ব্যবস্থাও আছে। পাশাপাশি আছে ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা। আছে অভিন্ন কমিউনিটি ও হাঁটার জায়গা।

ভবনের নিচতলায় আছে ৯টি দোকান। তার ওপরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় আছে ৪০টি। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা আছে ৫৮টি। এরপর ওপরে পঞ্চম থেকে ১৩ তলা পর্যন্ত আবাসিক ফ্ল্যাট। এসব ফ্ল্যাটের আকার ৮২৭ বর্গফুট থেকে ১ হাজার ৪৭৬ বর্গফুট। প্রকল্পটির কাজ চলমান।

এ প্রকল্প সম্পর্কে এসইএলের বিপণন প্রধান রওশন-উজ-জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য এসইএল নানা অফার দিয়েছে। যেমন ক্রেতারা প্রথমে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফ্ল্যাট বুকিং দিতে পারবেন। এরপর মাসে ২৫ হাজার টাকা করে পরিশোধ করতে হবে। ফ্ল্যাট হস্তান্তরের সময় বাকি টাকা দিলেই চলবে। পাশাপাশি গ্রাহকেরা চাইলে খুব সহজেই গৃহঋণের ব্যবস্থা করবে এসইএল। সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এই প্রকল্প আকর্ষণীয় হবে বলেই মনে করছি আমরা।’

নগরের মধ্যে প্রশান্তি

সাভারের সিটি আর্কেড প্রকল্প

কেউ যদি চান আরামে গা এলিয়ে চা পান করবেন আর তাঁর সন্তান সামনে খেলাধুলা করবে, তাহলে এসইএলের এই দুই প্রকল্পে তা সম্ভব। ছায়ানীড় প্রকল্পের মাঝখানে সবুজ মাঠ আপনাকে দেবে সেই প্রশান্তির সন্ধান। আর সিটি আর্কেডের ছাদে আছে সেই ব্যবস্থা। একই সঙ্গে নাগরিক সেবা থেকেও আপনি দূরে থাকবেন না। ফলে যাঁরা এ দুই একসঙ্গে চান, তাঁরা এ দুই প্রকল্পের একটি বেছে নিতে পারেন। এ দুই প্রকল্পের ফ্ল্যাট ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য পেতে আগ্রহী ব্যক্তিরা ০৯৬৬৬৭৭৩৩৪৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।