পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছেই। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস আজ রোববারেও আশুলিয়া ও সাভারে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন।
বিক্ষোভের কারণে আশুলিয়ার জামগড়া ও নরসিংহপুরের অন্তত ৫০টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন শ্রমিক।
নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী প্রতিশ্রুত মজুরি না দেওয়া এবং মজুরি কাঠামোর পরিবর্তনের দাবিতে এই বিক্ষোভ হচ্ছে।
শ্রমিকেরা বলছেন, নির্বাচনের আগে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে টাকা না দেওয়ায় শ্রমিকদের ক্ষোভ বেড়েছে। বেতন বাড়ার খবরেই জীবনযাত্রার খরচ বাড়ার দিকে বলে দাবি তাঁদের। যার কারণে অনেকে পেটের টানেও সড়কে নামছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন।
গত এক সপ্তাহ ধরে আশুলিয়া ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা, মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ হচ্ছে।
গতকাল শনিবার আশুলিয়ায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এ সময় সংঘর্ষ হয় দফায় দফায়। এদিন ঢাকার মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে, টোলারবাগ, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। কচুক্ষেত এলাকায় পোশাকমালিকেরা শ্রমিকদের বিক্ষোভে অংশ নিতে না দিলে কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুরও করা হয়। দুপুরের দিকে পুলিশ পুরো চারটি স্থানেরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া ও নরসিংহপুরে শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের সময় শ্রমিকেরা বাসে ঢিল ছুড়ে মারেন। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
বিক্ষোভের কারণে আজ আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।
বিক্ষোভ খানিকটা কমে এলে বেলা ১১টার দিকে যান চলাচল শুরু হয়। তবে আজ সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কম।
বিভিন্ন সড়ক ও কারখানার সামনে সামনে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও বিজিবি।
শিল্প পুলিশ-১-এর সুপার সানা শামিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ ৫০ টির মতো কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন...