আশির দশকে যাত্রা শুরু কামারশালায়

বগুড়ার কৃষি যন্ত্রাংশ উদ্ভাবন এবং হালকা প্রকৌশলশিল্পের শুরুটা হয়েছিল চল্লিশের দশকে, কার্যত কামারশালায় সারাইয়ের কাজে জড়িত কয়েকজন কারিগরের হাত ধরে। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি যন্ত্রাংশ ও হালকা প্রকৌশলশিল্প উদ্ভাবনের পেছনে কারিগরদের কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছিল না। যন্ত্রাংশের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে কামারশালায় লোহা পিটিয়ে বিকল যন্ত্র সারিয়ে সচল করতেন তাঁরা। এভাবে লোহা পিটিয়ে নানা যন্ত্রাংশ তৈরি করতে গিয়ে একের পর এক কৃষি ও হালকা যন্ত্রাংশ উদ্ভাবন করতে থাকেন কারিগরেরা।

বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি বগুড়ার যুগ্ম সম্পাদক ও একাধিক কৃষিযন্ত্রের উদ্ভাবক মো. আমির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, সে সময় গ্রামেগঞ্জে ও হাট–বন্দরে পাকিস্তানি ও জার্মানির তৈরি বিকো, ধান ভাঙানোর যন্ত্র ব্যবহার শুরু হয়। ওই সব যন্ত্র বিকল হলে তা মেরামতের জন্য যেতে হতো কলকাতার যজ্ঞেশ্বর কোম্পানিতে। সত্তর দশক থেকে এসব কামারশালায় সেচযন্ত্রের ছোট ছোট যন্ত্রাংশ তৈরি শুরু হয়। পাশাপাশি এ সময় কয়েকজন কারিগরের হাত ধরে উদ্ভাবন হতে থাকে নানা কৃষি যন্ত্রাংশ। পরে ১৯৭৮ সালে কাঠের কাঠামো দিয়ে প্রথম পানির সেচের পাম্প উদ্ভাবন করা হয় বলে দাবি আমির হোসেনের।

আরও পড়ুন:
সেচপাম্প রপ্তানিতে সম্ভাবনার হাতছানি
সুনজর পেলে রপ্তানি বাড়বে