কেন্দ্রের ভেতরে ভোটার কম থাকলেও বাইরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়। আজ বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের এয়াকুব আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে
কেন্দ্রের ভেতরে ভোটার কম থাকলেও বাইরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়। আজ বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের এয়াকুব আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী–ডবলমুরিং–হালিশহর–পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ রোববার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়। মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হলেও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট চোখে পড়েনি। এদিকে আরমান আলী নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।এ ছাড়া কিছু কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর লোকজনের দৌরাত্ম্য ছিল।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কেন্দ্র থেকে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভোট গ্রহণ শেষে এখন গণনা করা হচ্ছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা অনিয়ম হয়নি দাবি করলেও কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটকক্ষে ঢুকে প্রভাব বিস্তার করেছেন। নগরের নয়াবাজার এয়াকুব আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬ নম্বর কক্ষে দেখা যায়, জেনিফার আলম নামের এক নারী ভোটারদের বাটন চেপে দিচ্ছেন।

গোপন কক্ষে দ্বিতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. গোফরান বলেন, ‘গোপন কক্ষে ঢোকায় সকালে একজনকে বের করে দিই। এখন ফের ঢুকলে আমি দেখব।’

একইভাবে দক্ষিণ কাট্টলী ফজলুল হাজেরা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের ৩ নম্বর কক্ষের (পুরুষ) সামনে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের জটলা দেখা যায়। এই জটলায় থাকা লোকজনের মধ্যে অন্তত পাঁচজনের বুকে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ লাগানো ছিল। ওই কেন্দ্রে নৌকার কেন্দ্রসচিব পরিচয় দেওয়া খোকন দেবনাথকে কয়েকবার গোপন কক্ষে ঢুকতে দেখা যায়।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরমান আলী অভিযোগ করেছেন, নগরের ফইল্যাতলী বাজারে অবস্থিত প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফজলুল হাজারা ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রে তাঁর ওপর দুই দফা হামলা হয়। হামলায় জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা।

এ নির্বাচনে প্রার্থী ছয়জন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা প্রতীকে এবং জাতীয় পার্টির সামশুল আলম লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেন। অপর চার প্রার্থী হলেন তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।

উপনির্বাচনে ১৫৬ কেন্দ্রে ১ হাজার ২৫১টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়।