ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুড়ে যাওয়া বনানী টোল প্লাজা আজ বিকেলে চালু হবে

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতের সময় পুড়িয়ে দেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী টোল প্লাজাটি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চালু হচ্ছে। আজ বিকেল পাঁচটা থেকে টোল প্লাজাটিতে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় (হাতে হাতে) টোল নেওয়া হবে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

কোম্পানির অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান বলেন, বিকেল পাঁচটা থেকে বনানী টোল প্লাজার চারটি বুথের মধ্যে একটি বুথে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় টোল নেওয়ার মধ্য দিয়ে রুটটি চালু করা হচ্ছে। বাকি তিনটি বুথও আগামী সপ্তাহে চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে মহাখালী টোল প্লাজাও চালু করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগের মতো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করতে কিছুটা সময় লাগবে।

আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাতে বনানী ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোল প্লাজায় আগুন দেওয়া হয়।

শত শত লোক টোল প্লাজায় হামলা চালায়। একদল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যায়। কেউ কম্পিউটার, ক্যামেরা নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি ও সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ওই সময় কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এফডিইই কোম্পানি লিমিটেড।

এরপর টানা ২৪ দিন বন্ধ থাকার পর ১১ আগস্ট রোববার বেলা তিনটা থেকে পুড়ে যাওয়া দুটি টোল প্লাজা বাদে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে স্বাভাবিক টোল কার্যক্রম শুরু হয়।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) বড় এই প্রকল্পে বাংলাদেশ ছাড়া থাইল্যান্ডের একটি ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ ও নির্মাণকাজের মাধ্যমে অংশীদার। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছের কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। পুরো উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হাতিরঝিল-সংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শেষ হয়েছে।