প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) এবং সমমানের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের (পিএমইএটি) অধীন এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, স্টাইপেন্ড ও টিউশন ফির টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরাসরি সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যাবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্টাইপেন্ড ও টিউশন ফি বাবদ অর্থ বিতরণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতা ২০২৪–এর ১৫ জন শিক্ষার্থী এবং ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০২৩ সালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ করেন।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক এবং সমমানের ৬৪ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সর্বমোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।
‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৫ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকেই দুই লাখ টাকা ও একটি সনদ পেয়েছেন। এ ছাড়া ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড’প্রাপ্ত ২১ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকেই একটি সনদ ও তিন লাখ টাকা করে পেয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার ও শিক্ষাসচিব সোলেমান খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান মালিহা, দিনাজপুরের আমেনা-বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিফা রহমান, খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল কলেজের পিনাকমুগ্ধ দাস ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ ২০২৪–এর পক্ষে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী যথাক্রমে জেরিন তাসনীম রাইসা ও আল ফয়সাল বিন কাসেম কানন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলারর্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’–এর পক্ষে অনুষ্ঠানে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।