পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে অন্তত ১৯টি যানবাহন আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি মাইক্রোবাস ও ১৬টি মোটরসাইকেল রয়েছে।
আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িগুলোতে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক পর পরিবেশ শান্ত হয়।
পুলিশ লাইনস হাসপাতাল থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ দুপুরে দলটির মহাসমাবেশ ছিল। এ উপলক্ষে সেখানে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীও সমবেত হয়েছিলেন। তবে দুপুরে সেখানে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির সমাবেশ। এর পরপরই রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পুলিশ হাসপাতালের কর্মী আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। তাঁরা হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের কাচের প্রবেশ দরজা ভাঙচুর করেন। এ সময় তাঁদের বাধা দিতে গেলে হাসপাতালের ১০-১২ জন কর্মী আহত হন। পরে পুলিশের একটি ফোর্স এসে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের দুটি ও খিলগাঁওয়ের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন নেভাতে যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েন। এ সময় সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর চলছিল।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেন। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ সময় রোগী ভর্তিতে বিঘ্ন ঘটে।