১১ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

সকালের মুষলধারে বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় লোকজনকে। রহমতগঞ্জ, চট্টগ্রাম। ১৭ জুন
ছবি: সৌরভ দাশ

মাত্র ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের অনেক এলাকায় পানি জমে যায়। বৃষ্টি থামার পরেও তা না নামায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ভারী বর্ষণে নগরের দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ফরিদারপাড়া, চান্দগাঁও আবাসিক, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাড়ইপাড়া, ডিসি রোড, বাকলিয়া, চকবাজার কাঁচাবাজার, রহমতগঞ্জ, আতুরার ডিপো এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, এসব এলাকায় কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছিল। এর মধ্যে কেউ সেই পানি মাড়িয়ে, কেউ রিকশায় করে গন্তব্যে রওনা দেন।

আজ দুপুরে নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসেছিলেন চাকরিজীবী তাসনীম হাসান। বাজার থেকে বের হয়ে দেখেন সামনের সড়কে হাঁটুপানি। তিনি বলেন, দুপুরে ভারী বৃষ্টি হলে বহদ্দারহাট মোড়ে পানি জমে যায়। নগরের উঁচু এলাকা থেকে পানি নালা-নর্দমা ও খালে হয়ে এখানে চলে আসে। এতে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। যার কারণে রাস্তায় চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর কোনোরকমে একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসেন।

নগরের চকবাজার কাঁচাবাজার এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছিল। এতে দোকানি ও ক্রেতারা বিপাকে পড়েন। মিজানুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, রাস্তায় যে পানি জমেছে, তা নোংরা ও ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। এ সুযোগে রিকশাচালক ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা চান। পরে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিতে হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুচাপের কারণে আরও কয়েক দিন এই রকম থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটির সভাপতি মোবারক আলী প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষা মৌসুমের প্রথম অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম বৃষ্টি হওয়ায় খালগুলোর উজান থেকে ময়লা-আবর্জনা নিচের দিকে চলে এসেছে। এতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের খাল ও নালা–নর্দমা থেকে প্রতিবন্ধকতা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কাজ করছেন।