ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত এবং রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে শামীম হকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ফলে শামীম হকের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তাঁর প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। আপিলে দাবি করা হয়, শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। শুনানি শেষে ইসি আপিল মঞ্জুর করে সিদ্ধান্ত দেন। ফলে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর বৈধতা নিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে শামীম হক ১৭ ডিসেম্বর রিট করেন। শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শামীম হক, যার ওপর আজ চেম্বার আদালতে শুনানি হয়।
আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, তানজিব উল আলম ও মুস্তাফিজুর রহমান খান।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারে গত ৯ নভেম্বর সেই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন শামীম হক। এই আবেদন অনুমোদিত হয়েছে বলে ১৪ ও ১৮ ডিসেম্বর দুটি চিঠির মাধ্যমে ডাচ দূতাবাস নিশ্চিত করে। তিনি দ্বৈত নাগরিক নন। চেম্বার আদালত ইসির সিদ্ধান্ত ও হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শামীম হককে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই।