বৈধ অস্ত্রধারীদের কেউ কেউ অবৈধভাবে অস্ত্র দেখিয়ে ভীতি তৈরি করছেন। নির্বাচনের আগে এখনো অস্ত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
রাজনৈতিক কর্মসূচি ও প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সমর্থকেরা। এভাবে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ হলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা প্রশাসন অথবা পুলিশ। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হলেও তা পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।
দেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ভীতির পরিবেশ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের সময় বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা এখনই ঘটছে। যেমন গত রোববার ময়মনসিংহের নান্দাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন করেন স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের জামাতা জাহিদ হাসানের দেহরক্ষী কামরুজ্জামান। এই অস্ত্রের লাইসেন্স কামরুজ্জামানের নামে। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন আবদুস সালামের মেয়ে (জাহিদের স্ত্রী) ওয়াহিদা ইসলাম।
নান্দাইলে অস্ত্র প্রদর্শনের খবরটি তিনি গণমাধ্যমে দেখেছেন। তবে সেটির লাইসেন্স ঢাকা থেকে নেওয়া কি না, তা তাঁর জানা নেই।আনিসুর রহমান, ঢাকার জেলা প্রশাসক
জাহিদ হাসান সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ তাঁর কাছে এসেছিল। অস্ত্রটির লাইসেন্স দেখানোর পর তাঁরা চলে গেছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, জাহিদ হাসানের অস্ত্রটির লাইসেন্স ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে নেওয়া। ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, নান্দাইলে অস্ত্র প্রদর্শনের খবরটি তিনি গণমাধ্যমে দেখেছেন। তবে সেটির লাইসেন্স ঢাকা থেকে নেওয়া কি না, তা তাঁর জানা নেই।
বিভিন্ন দলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বলছেন, স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান অনেক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী নেতার কাছে বৈধ অস্ত্র রয়েছে। সেগুলো তাঁরা প্রায়ই প্রদর্শন করেন, প্রকাশ্যে সবাইকে দেখিয়ে চলাচল করেন। উদ্দেশ্য থাকে ভীতি তৈরি, যা নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। আলোচনা হয় কেবল ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে।
অথচ ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা-২০১৬’ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নিজের লাইসেন্সের বিপরীতে নেওয়া অস্ত্র শুধু আত্মরক্ষার জন্য বহন ও ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যের ভীতি বা বিরক্তি তৈরি হতে পারে এমন ক্ষেত্রে অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না। এটা করলে তাঁর অস্ত্রের লাইসেন্স তাৎক্ষণিকভাবে বাতিলযোগ্য হবে।
বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তথ্যভান্ডার ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফএএমএস) গত অক্টোবরের তথ্য বলছে, দেশে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩১০। ৪৫ হাজার ২২৬টি অস্ত্র ব্যক্তির হাতে ও ৫ হাজার ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে।
ব্যক্তির কাছে থাকা অস্ত্রের মধ্যে রাজনীতিবিদদের হাতে আছে ১০ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে আছে ৭ হাজার ৫৪৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। আর বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আছে ২ হাজার ৫৮৭টি। জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে আছে ৭৯টি।
পুলিশের বিশেষ শাখার ২০২১ সালের ডিসেম্বরের হিসাব বলছে, তখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ১০৪। ফলে দেখা যাচ্ছে, দুই বছরে দেশে বৈধ অস্ত্র বেড়েছে প্রায় ৬ হাজার ২০৬টি।
সবচেয়ে বেশি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১১ হাজার ৮৯৮টি। চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৫১২, রাজশাহীতে ৮ হাজার ৩২১, সিলেটে ৪ হাজার ৭৫৭, খুলনায় ৭ হাজার ৪৭৯, রংপুরে ৩ হাজার ৫৯৭, ময়মনসিংহে ২ হাজার ১১৮ ও বরিশালে ২ হাজার ৬৮২টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স করা এসব আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে পিস্তল, রিভলবার, একনলা ও দুনলা বন্দুক, শটগান ও রাইফেল রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গোলাম কবিরের অস্ত্রটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা আসেনি।মোহাম্মদ আবদুল ওহাব, বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গত ২২ মে প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে মিছিল করে আলোচনায় আসেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রদর্শিত আগ্নেয়াস্ত্রটি বৈধ। এর লাইসেন্স সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুরের নামে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল।
নিয়ম হলো, অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলি করে ভয় দেখানো হলে থানা-পুলিশ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসনে প্রতিবেদন দেবে। জেলা প্রশাসন লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা নেবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করেনি। সংসদ সদস্যের অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি পুরোনো। এটা তাঁর লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। তখনই সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ বিক্ষোভ দমনেও বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছেন। যেমন গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মাঠে নামেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন ওরফে লাক্কু। তাঁর নামে দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি শটগান এবং অন্যটি রিভলবার। সেদিন তিনি যে অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন, সেটি বৈধ নাকি অবৈধ, এ বিষয়ে খোঁজ নেয়নি পুলিশ।
এখন তো আর আদর্শের রাজনীতি নেই। এখন রাজনীতি হলো অর্থ আর শক্তির বিষয়। এ কারণে রাজনীতিতে অস্ত্র প্রয়োজনীয় উপকরণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, যাঁরা ক্ষমতাসীন দলে থেকে অস্ত্রবাজি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এটা শুধু এখন নয়, অতীতেও যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।শাহদীন মালিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
মিরপুরে যুবলীগ নেতার অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহিদুল ইসলাম সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, প্রদর্শন করা অস্ত্রের বিষয়ে আওলাদ হোসেনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর আইন অনুযায়ী তাঁর অস্ত্রের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তবে সেই কার্যক্রম শুরু করা হয়নি।
অবশ্য যুবলীগ নেতার অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনার পর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, মিরপুরে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে কোনো তথ্য তাঁর কাছে আসেনি।
বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের একটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ফরিদপুরের। গত ৬ জুন ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি গোলাম কবির (৬৮) বাসাভাড়া নিয়ে বিরোধে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয় দেখিয়েছিলেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল ওহাব প্রথম আলোকে বলেন, গোলাম কবিরের অস্ত্রটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা আসেনি।
অবৈধ অস্ত্রধারীর ছবি থাকা ও পরিচয় জানার পরও তাঁকে ধরতে না পারার ঘটনা একাধিক। যেমন ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে পাথরঘাটা এলাকায় পিস্তল হাতে গুলি ছুড়তে থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আ ফ ম সাইফুদ্দিনের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ২ বছর ৯ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায়নি।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামাণিক সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৮ সালের জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজির ঘটনা ঘটেছে ১১টি, যার ৬টি ঘটনা ঘটেছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। অস্ত্রধারীদের মধ্যে পেশাদার সন্ত্রাসী ছাড়াও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পদধারী নেতারাও রয়েছেন।
২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়। দুটি ঘটনার ভিডিও পুলিশ উদ্ধার করলেও অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করতে পারেনি। এই দুই খুনে গ্রেপ্তার ২৮ জন জামিনে রয়েছেন।
দেশের কোনো নাগরিক জীবনের ঝুঁকি থাকলেই কেবল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। বয়স হতে হয় ২৫ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। কিন্তু অভিযোগ আছে, এখন রাজনৈতিক বিবেচনায় অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। সেই অস্ত্র বিরোধীদের ভয়ভীতি দেখাতে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত জাতীয় নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র থানায় জমা নেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পর ২০ ডিসেম্বর সব ধরনের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো কমিশন নেয়নি। তবে গত ৩০ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তাতে নির্বাচনের সময় ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে অস্ত্র জমা না নেওয়ার পক্ষেই মত আসে।
বৈধ অস্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবহার ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়ার প্রবণতার বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, এখন তো আর আদর্শের রাজনীতি নেই। এখন রাজনীতি হলো অর্থ আর শক্তির বিষয়। এ কারণে রাজনীতিতে অস্ত্র প্রয়োজনীয় উপকরণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, যাঁরা ক্ষমতাসীন দলে থেকে অস্ত্রবাজি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এটা শুধু এখন নয়, অতীতেও যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
সংশোধনী: প্রতিবেদনে প্রথমে ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রদর্শিত অস্ত্রটির লাইসেন্স জাহিদ হাসানের নামে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে লাইসেন্স মূলত কামরুজ্জামানের নামে।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও প্রতিনিধি, নান্দাইল]