সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ‘গরম লাগায় ২ মিনিটও হইব না বের হইছি, এর মধ্যে বিস্ফোরণ’

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণে আহত জামান শিকদারের পাশে স্বজনেরা
ছবি : প্রদীপ সরকার

গরম লাগছিল জামান শিকদারের। তাই তিনি ভবন থেকে বাতাস খেতে বের হন। বেরিয়ে রাস্তার ওপর একটি ভ্যানে বসেন। তারপরই বিস্ফোরণ। জামান শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই মিনিটও হইব না বের হইছি। আমার ভাগ্য অনেক ভালো।’

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া জামান শিকদার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন।

প্রাণে বেঁচে গেলেও জামান শিকদারের মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কাচ ও বিভিন্ন পদার্থ ঢুকেছে। তিনি বলেন, ‘মাথায়-পায়ে ব্যান্ডেজ দেখছেন, এগুলো সব কাটা।’
কাচ বের করে শরীর ব্যান্ডেজ করে দিলেও হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টা ধরে পড়ে আছেন জামান। তাঁর স্ত্রী মুন্নি খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যান্ডেজ করে দুই ঘণ্টা ধরে বাইরে ফেলে রাখছে। কিছু করেও না, বলেও না। আমরা কী করব বুঝতে পারছি না।’

বিস্ফোরিত ভবনের অনিকা গ্যালারিতে কাজ করতেন জামান শিকদার। সেটার মহাজন সুমন নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার বর্ণনা করে জামান বলেন, ‘গরম লাগে দেখে বাতাস খাওয়ার জন্য বের হইছিলাম। বের হয়ে একটা ভ্যানের ওপর বসি। বসার পরে বিকট একটা আওয়াজ। তারপরে আর কিছুই মনে নাই।’

জামান শিকদার আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, সেখানকার চার-পাঁচজন মারা গেছেন। মহাজন সুমনকেও দেখতে পাইনি।’