হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

জব্দ করা মাদক ধ্বংসে প্রতিটি জেলায় দাহন–যন্ত্র স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বায়ুদূষণ রোধে জব্দ করা মাদক ধ্বংসে প্রতিটি জেলায় নির্গমনের মান রেখে উপযুক্ত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র যুক্ত করে ইনসিনারেটর (দাহন–যন্ত্র বা দহন–চুল্লি) স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা ও বায়ুদূষণ রোধে জব্দ করা মাদক ধ্বংসে নির্গমনের মান রেখে উপযুক্ত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র যুক্ত করে প্রতিটি জেলায় ইনসিনারেটর (দাহন–যন্ত্র বা দহন–চুল্লি) স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

জব্দ করা মাদক ধ্বংসের ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ রোধ ও জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

আদেশের পর আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৬(৪) ধারা অনুযায়ী জব্দ করা অবৈধ মাদকদ্রব্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। তবে ধ্বংসের সময় কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এমনকি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার বিধিগুলো মানা হয় না। জব্দ করা মাদকদ্রব্য ধ্বংসের উপযুক্ত জায়গা ও যন্ত্র নির্ধারণ না থাকায় উন্মুক্ত স্থানে জব্দ করা মাদক ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে বিচারপ্রার্থী, পুলিশ, আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। যে কারণে রিটটি করা হলে শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।’