রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সাত সদস্যের এই কমিটি মাতৃমৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করবে। এর আগে চট্টগ্রামে আটজন মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় একই ধরনের কমিটি করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মার্চ মাসে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসবের পর দুই মায়ের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ৬ এপ্রিল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রতিবেদন ছাপা হয়। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আরও কিছু বেসরকারি হাসপাতালে কয়েকজন প্রসূতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব মৃত্যু পর্যালোচনার জন্য ৭ এপ্রিল মৃত্যু পর্যালোচনা কমিটি করেছে অধিদপ্তর।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধানকে সাত সদস্যের মৃত্যু পর্যালোচনা কমিটির প্রধান করা হয়েছে। রাজশাহীর সিভিল সার্জনকে কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন, সার্জারি, কিডনি, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান এবং রাজশাহী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে মাতৃমৃত্যুর ঘটনায় ২৮ মার্চ একই ধরনের মৃত্যু পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই কমিটিকেও সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। তবে কমিটি তা দেয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটি আরও সাত কর্মদিবস সময় চেয়েছে। তাই প্রতিবেদন পেতে বিলম্ব হচ্ছে।’
দেশে বেশ কয়েকটি জেলায় বেসরকারি হাসপাতালে মায়েদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লায় ১৬ জন মায়ের মৃত্যু নিয়ে ২৯ মার্চ প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পেশাজীবী সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসবের পর এসব মায়ের মৃত্যু হয়েছে।