রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বলাকা সিনেমা হলের সামনের পদচারী–সেতুর নিচে জটলা। সড়কের একাংশ ও ফুটপাতে চেয়ার পেতে বসেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন আরও কয়েকজন।
এই এলাকা ছাড়াও সায়েন্স ল্যাব, বাটা সিগন্যাল, কাঁটাবন মোড়েও অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, বাস পোড়ানো ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আরও জোরালোভাবে মাঠে থাকতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তফসিলকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আরও বেশি নাশকতা করতে পারে এই আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগামী এক সপ্তাহ নেতা-কর্মীদের বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
তফসিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বেশি উপস্থিতি ও সন্ধ্যার পরেও অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি প্রথম আলোকে বলেন, তফসিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বেশি উপস্থিতি ও সন্ধ্যার পরেও অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বলাকা সিনেমা হলের সামনে উপস্থিত ছিলেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মানুষ অবরোধ-হরতাল গ্রহণ করছে না। কিন্তু বাস পোড়ানোয় আতঙ্ক রয়েছে। এই চোরাগোপ্তা হামলা তারা দিনের আলো কমে গেলে ঘটাচ্ছে। আওয়ামী লীগ পাহারায় থাকলে এসব ঘটনা ঘটাতে ভয় পায়।
বেলা একটার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত আছেন। সকাল থেকে সেখানে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর। বেলা দেড়টার দিকে সেখানে এসে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ গতকাল রোববার সকাল ছয়টায় শুরু হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার এ অবরোধ কর্মসূচিতেও ‘পাহারা’য় আছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ঢাকাসহ সারা দেশে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৫টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।