বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির কারণে চীনের দূতাবাস ঢাকায় আলাদা ভিসাকেন্দ্র চালু করেছে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে প্রাসাদ ট্রেড সেন্টারে ইয়াও ওয়েন ওই ভিসাকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
চীন দূতাবাস জানিয়েছে, এ কেন্দ্র চালুর পর সাধারণ পাসপোর্টধারীদের ভিসার জন্য আর দূতাবাসে যেতে হবে না। তবে কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের দূতাবাসে গিয়েই ভিসার আবেদন জমা দিতে হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সব পর্যায়ে এবং সব খাতে নিবিড় যোগাযোগ হচ্ছে। চীনে যেতে বাংলাদেশিদের আগ্রহ বেড়েছে। তিনি জানান, জনবলের স্বল্পতা ও ভিসাপ্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতার পরও গত বছর প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার বাংলাদেশি চীনের ভিসা পেতে আবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকার এ কেন্দ্র নিয়ে বিশ্বব্যাপী চীনা ভিসাকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে ১০৩টি হলো। ২০২৩ সালের ১৫ জুন থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ফলে যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিসা ফরম পূরণ, আবেদনের সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ জমা এবং অনলাইন সাক্ষাৎকারের মতো সুযোগ তৈরি হওয়ায় ‘উল্লেখযোগ্য’ ফল পাওয়া গেছে। এই প্রক্রিয়ার কারণেই গত ১০ মাসের কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪৪ হাজার ভিসা ইস্যু করা সম্ভব হয়েছে।
চীনের দূতাবাস জানিয়েছে, নির্ধারিত ভিসা ফি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস সার্ভিস ফির পাশাপাশি আবেদনের জন্য একটি ফি দিতে হবে। আবেদনের বিস্তারিত জানা যাবে ভিসা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে (visaforchina.cn)।
ছুটির দিন ছাড়া ভিসাকেন্দ্র খোলা থাকবে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার। আবেদন জমা এবং ফি জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা।
সাধারণ পাসপোর্টধারীদের চীনের ভিসার জন্য শুরুতে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে ভিসাকেন্দ্রের ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য যেতে হবে ভিসাকেন্দ্রে।