মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসা তিতাসের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের লস্করদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের লস্করদী এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান তিতাস গ্যাসের লোকজন। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় কর্মকর্তাদের ও তাঁদের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা।
অবরোধের ফলে গজারিয়া-জামালদী সড়কে আধা ঘণ্টার মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। মারমুখী অস্থানে ছিলেন ওই এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। অভিযান শেষ না করেই পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে হয় তিতাসের লোকজনকে।
তিতাস গ্যাসের মেঘনা ঘাট আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওই এলাকার দুই কিলোমিটার অংশে অবৈধ পাঁচ হাজার গ্যাস সংযোগ ছিল। এসব গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান শুরু করি। জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি ছোট লাইন বিচ্ছিন্ন করার পর আমরা লস্করদী এলাকার লাইন বিচ্ছিন্ন করতে যাই। সে সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা আমাদের কাজে বাঁধা দিয়ে অবরুদ্ধ করেন। পুলিশ এলে সেখানকার অভিযান না করেই চলে আসতে হয়।’
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম, সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার অ্যান্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অবরোধকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁরা একেকটি সংযোগ নিয়েছেন। সংযোগ অবৈধ বলে এর আগেও একাধিকবার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। আবার চাঁদা তুলে সংযোগ নেন। এবার আর সেই সংযোগ কাটতে দেবেন না। এ সময় আন্দোলনকারীরা গজারিয়ার সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-গজারিয়া সার্কেলের) থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে গজারিয়ার লস্করদীতে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা স্থানীয় ব্যক্তিদের বাধার মুখে পড়েন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করে।