ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মর্যাদা, বেতন–ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এ ছাড়া এসব কমিশনের সদস্যদের মধ্যে যাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত নেই, তাঁরা কমিটির প্রতিটি সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন। আর যাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত, তাঁরা কমিটির প্রতিটি সভার জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। অবশ্য কমিশনপ্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে, তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
৩ অক্টোবর নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এরপর ৬ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশনের কমিশন গঠন করা হয়।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ছয় সংস্কার কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছিলেন। পরে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর মধ্যে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।