নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেটের পরিচালনা নিয়ে মালিকপক্ষ ও পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে দখল, টাকা আত্মসাৎসহ হামলার অভিযোগ তুলেছে।
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মেট্রোনেট বন্ধের ষড়যন্ত্র: হুমকির মুখে পড়তে পারে সারা দেশের ইন্টারনেট–সেবা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন করে মালিকদের একটি পক্ষ।
তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেট ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মালিকানায় আছে রহিমআফরোজ, ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেড, ফেরদৌস আজম খান ও বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির। এর মধ্যে রহিমআফরোজের মালিকানা ৫১ শতাংশ। এখানে রহিমআফরোজ ও সৈয়দ আলমাস কবিরের বিরুদ্ধে দখল, টাকা আত্মসাৎ ও হামলার অভিযোগ করছে ফ্লোরা টেলিকম ও ফেরদৌস আজম খান। দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলাও হয়েছে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেট্রোনেটের আট হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে দেশের জরুরি সেবা ৯৯৯, বিভিন্ন ব্যাংক, মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ও ফেরদৌস আজম খান বলেন, ২০০৬ সাল থেকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আলমাস কবির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বোর্ড মিটিংগুলোয় অনুপস্থিত থাকার কারণে গত জানুয়ারিতে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে এরপরও তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ ব্যবহার করে কাজ করে যাচ্ছেন। মেট্রোনেটের বনানীর অফিসে লোক দিয়ে হামলা করেন। কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করাসহ আরও কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ ছাড়া বলা হয়, আলমাস কবির ও রহিমআফরোজ মিলে কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ আলমাস কবির তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৭ বা ১৮ বছর ধরে কোম্পানি চালিয়ে আসছি। রহিমআফরোজই কোম্পানির বড় মালিক। দখলে নেওয়ার কিছু নেই।’ তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘অপর পক্ষ যেসব অভিযোগ করেছে, সেগুলো অভিযোগকারীরা নিজেরাই ঘটিয়েছেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে মোস্তফা রফিকুল ইসলাম নিজেকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি করে আসছেন। তাঁরা কয়েকজন মিলে জোরপূর্বক প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা করছেন।’