২১ বছর আগে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ দেখিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহর হাউজিং স্টেটে তিনটি প্লট নিবন্ধন করার দুর্নীতির মামলায় চারজনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁদের মধ্যে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক দুই কর্মচারী রয়েছেন।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনশী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। সাজার আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের চাকরিচ্যুত নিম্নমান সহকারী কাঞ্চন আলী সওদাগর, অফিস সহকারী আবুল কাশেম, প্লট গ্রহীতা সাজ্জাদ হোসেন ও নাসিম ইকবাল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আদালত চার আসামিকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ ও ইস্যু নম্বর তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর হাউজিং স্টেটের জি ব্লকে ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা করে মোট ১০ দশমিক ৯৫ কাঠার তিনটি প্লট সাজ্জাদ হোসেন, নাসিম ইকবাল ও খলিলুর রহমান নামে বরাদ্দ দেখানো হয়। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে চট্টগ্রাম জেলা নিবন্ধন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভুয়া আদেশ দেখিয়ে ওই জমি নিবন্ধনও করানো হয়।
এ ঘটনায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২৩ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। তবে আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।