মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তলব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার অণু বিভাগ) মিয়া মো. মাইনুল কবির।
মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানাবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। গতকালও থেমে থেমে সীমান্তের ওপার থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সব মিলিয়ে রাখাইনের দুই পক্ষের সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তে উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে গত দুই দিনে মিয়ানমারের শতাধিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য বান্দরবানে পালিয়ে এসেছেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বান্দরবানে আশ্রয় নেওয়া ওই সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
জানা গেছে, গতকাল সকালে নেপিডো থেকে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুইন উ ফোনে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় মিয়ানমারের প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলেন।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টেকনাফ থেকে নাফ নদী হয়ে মংডুতে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এ সময় তিনি জানান, রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই অব্যাহত থাকলেও মংডু এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।