গণ–অভ্যুত্থানকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার অধিবেশনের একাংশ। শুক্রবার রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠে
গণ–অভ্যুত্থানকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার অধিবেশনের একাংশ। শুক্রবার রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠে

বাসাবো–খিলগাঁওসহ ১১ এলাকা

সাধারণ ছাত্র-জনতার অধিবেশনে ১০ দফা করণীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠে ‘গণ–অভ্যুত্থানকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার অধিবেশন’ আয়োজন করেন। এতে বাসাবো, খিলগাঁও, মান্ডা, মুগদা, কদমতলা, মাদারটেক, রাজারবাগ, সবুজবাগ, নন্দীপাড়া, মায়াকানন ও আহমদবাগ এলাকার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা কেমন নতুন বাংলাদেশ চান, তা তুলে ধরেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আন্দোলনে নিহত আশিকুল ইসলামের (১৬) বাবা রিকশাচালক ফরিদুল ইসলাম।

অধিবেশন থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সবার স্বার্থে গণ–অভ্যুত্থানকারী শিক্ষার্থী–জনতার পক্ষ থেকে ১০ দফা করণীয় ঠিক করা হয়। এগুলো হলো এলাকায় পুলিশসহ কোনো গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি চলবে না; ভিন্ন ধর্ম বা জাতির ওপর কোনো হামলা চলবে না; নারীদের ওপর কোনো নির্যাতন–হয়রানি হবে না; এলাকায় কোন সন্ত্রাস, লুটপাট কিংবা অস্ত্রের মহড়া চলবে না; কথা বলার জন্য কারও ওপর হামলা, হয়রানি–গ্রেপ্তার করা যাবে না; ভয় দেখিয়ে কাউকে কোনো মিছিল–সমাবেশে নেওয়া যাবে না; পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন চলবে না; রাস্তাঘাট ও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে; কারও আত্মমর্যাদায় আঘাত করা চলবে না এবং কোনো স্থাপনা বা ভাস্কর্য ভাঙা চলবে না।