ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

ইডেন মহিলা কলেজ
ফাইল ছবি

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে সম্প্রতি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও অস্থিরতা চলাকালে ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার যে অভিযোগ সামনে এসেছে, তার কোনো সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য এ কথা বলেছেন।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজ ক্যাম্পাসে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনা, পরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু শিক্ষার্থীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, কাজী আতিকুজ্জামান, সুফিয়া আখতার ও মেহেরুন্নেসা মেরীর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার সত্যতা পায়নি কমিটি। এ ছাড়া আসন-বাণিজ্য ও মারামারির ঘটনাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিধি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কলেজ প্রশাসন।

ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দলের জেরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনভর উত্তপ্ত ছিল ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস। ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এদিনই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য।

সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন কলেজ শাখা কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে শাখা কমিটির সভাপতি তামান্না ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়ার বিরোধী পক্ষের ১৬ নেতা-কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।  

এরই মধ্যে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সামিয়া আক্তারসহ কয়েকজন অভিযোগ করেন, তামান্না ও রাজিয়া সাধারণ ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন। বোরকায় মুখ ঢাকা এক ছাত্রীর হাতে এই অভিযোগসংবলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।