রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী
রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী

সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র–গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে রাউজান উপজেলার গহিরায় এই অভিযান চালায় জেলা পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়ির আলমারিতে থাকা একটি পয়েন্ট ২২ বোরের রাইফেল, একটি এলজি, একটি রিভলবার, একটি শটগান ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে শুধু রাইফেলের লাইসেন্স ছিল। বাকি অস্ত্র অবৈধ। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বৈধ অস্ত্র জমা না দেওয়ায় সেটিও অবৈধ হয়ে যায়। অস্ত্র–গুলি উদ্ধারের ঘটনায় রাউজান থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযানে থাকা চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নগরের খুলশী এলাকার একটি ফ্ল্যাটেও অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি।

১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ১০টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য নিরাপত্তার কারণে তাঁকে ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে আনা হয় হেলিকপ্টারে করে।

কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফজলে করিমকে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটির ইবাদতখানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের দুই মামলা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের ঘটনায় পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানার দুই মামলা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসম্পাদক নুরুল আলম হত্যার ঘটনায় চকবাজার থানার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত।

পরে ফজলে করিমকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ডিম ছুড়ে মারেন। এ সময় তাঁর ফাঁসির দাবিতে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। বর্তমানে রাউজান থানার এক মামলায় ফজলে করিমকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। কাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।