হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে নীতিমালা করার নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট

দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে নির্দেশিকা বা নীতিমালা বা যথাযথ আইনি বিধান প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ছয় মাস বয়সী শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান আবেদনকারী হয়ে ৩ জুলাই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে নির্দেশিকা বা নীতিমালা বা যথাযথ আইনি বিধান প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুজন সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, সমাজকল্যাণ সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনের ভাষ্য, বিশ্বের প্রায় ৭৮টি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে বলে আইএলের ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদন এসেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার দেশে অনেক বেশি। তাই জন্ম নেওয়ার পর নবজাতক ও তার মা অনেকটা নাজুক অবস্থায় থাকে। এ পর্যায়ে ন্যূনতম অবেহলায় তাঁদের অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারে। এ সময়ে নবজাতক ও তার মায়ের দেখাশোনার জন্য বাবা সর্বোত্তম বিকল্প। কর্মজীবী বাবার ক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান না থাকায় নবজাতক ও তার মায়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পিতৃত্বকালীন ছুটির অনুমতি দেয় না, যা বৈষম্যমূলক।