মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
‘চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারলেন না ১৭ হাজার কর্মী’ শিরোনামে গত জুন মাসে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ইউনাইটেড এক্সপোর্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী এস এম রফিক গত ১৫ জুলাই রিটটি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন ও মো. আবুল কাশেম সেলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনুন নাহার সিদ্দিকা।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে ৯০ দিনের মধ্যে দুদক ও বিএফআইইউকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া যেতে কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে সরকার নির্ধারিত ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা প্রদান নিশ্চিত করতে একটি পরিপূর্ণ নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব প্রক্রিয়া শেষে ১৭ হাজারের বেশি কর্মী যেসব রিক্রুটিং এজেন্সির অবহেলা ও অনিয়মের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, বাণিজ্যসচিব ও দুদক চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীর এই আইনজীবী।