ছিলেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা। তাঁর রয়েছে চট্টগ্রাম নগরে একটি ছয়তলা বাড়ি। ব্যাংকেও রয়েছে অনেক টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে জেনে সম্প্রতি তিনি তাঁর একটি ব্যাংক হিসাব থেকে দুই দফায় তুলে নেন ৪৯ লাখ টাকা। নগরের বাড়িটিও করছেন বিক্রির চেষ্টা। এমন পরিস্থিতিতে আদালতে জমিসহ ভবনটি জব্দের আবেদন করে দুদক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমিসহ ছয়তলা ভবনটি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম দেবতোষ চক্রবর্তী। তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা গ্রামে। আজ বুধবার দুপুরে তাঁর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সি আবদুল মজিদ।
আদালতে নিযুক্ত দুদকের আইনজীবী সিরাজ উল্যাহ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে চাকরিকালে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি এবং দুর্নীতির মাধ্যমে দেবতোষ চক্রবর্তী বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। যে ভবনটি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা চট্টগ্রাম নগরের কল্পলোক আবাসিক এলাকার এফ ব্লকে অবস্থিত। বাকলিয়া মৌজায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।
দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমদ বলেন, দুদকের তদন্ত চলাকালে ব্যাংক থেকে গত ৯ ও ৩১ জুলাই ৪৯ লাখ টাকা তুলেছেন দেবতোষ চক্রবর্তী। কল্পলোক আবাসিকে তাঁর নির্মাণ করা ভবনটি ২ দশমিক ৭০ কাটা জমিতে, সেটিও তিনি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। জমিসহ ভবনটি দুদকের নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।