গায়েবানা জানাজা শেষে মোনাজাত করছেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা
গায়েবানা জানাজা শেষে মোনাজাত করছেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা

সতর্ক থাকার আহ্বান চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের গায়েবানা জানাজা পড়েছে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ। বুধবার বিকেলে নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি পালন করে।

গায়েবানা জানাজা–পূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়। বিচারের রায় ও পরামর্শ অনুযায়ী সরকার এ ব্যাপারে যৌক্তিক ও যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ অবশ্যই অসাংবিধানিক ও নীতিবিবর্জিত।

আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্ররা যে আন্দোলন করে যাচ্ছেন, তাতে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং পরাজিত অপশক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই আন্দোলনকে সরকার উৎখাতের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একটি মহল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে তৎপর হয়ে উঠেছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার সপক্ষের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি লাগামহীন কটূক্তি করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিজেদের রাজাকারের সন্তান হিসেবে দাবি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তাই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ছাত্র, যুব, রাজনীতিক, পেশাজীবী শক্তিসহ দেশপ্রেমিক জনগণকে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান তাঁরা।

এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী ও খোরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন। পরে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।