ওএমএস চালের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা। সকাল ১০টায়, নয়াবাজার মোড়, চট্টগ্রাম, ৩ মে
ওএমএস চালের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা। সকাল ১০টায়, নয়াবাজার মোড়, চট্টগ্রাম, ৩ মে

চট্টগ্রাম

ওএমএসের প্রথম দিনে ভিড় কম, চাল পেয়েছেন সবাই

১৪ দিন পর আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম। সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। তবে প্রথম দিন চট্টগ্রাম নগরে ওএমএস ট্রাকের সামনে ছিল তুলনামূলক কম ভিড়।

বুধবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের উত্তর পাহাড়তলীর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় ও নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, চাল কিনতে এসেছেন ৫০ থেকে ৬০ মানুষ। ফলে সুশৃঙ্খলভাবেই চাল নিতে পেরেছেন সবাই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে, তবে সবাই চাল পেয়েছেন।

তবে চাল পেয়েও কিছুটা অসন্তুষ্ট ক্রেতারা। এর কারণ ওএমএসের চালে কমেছে জনপ্রতি বরাদ্দ। আগে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারলেও এখন জনপ্রতি কিনতে পারছেন তিন কেজি চাল।

নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় ওএমএস ট্রাক থেকে চাল কিনতে আসা আবদুল মজিদ বলেন, ছয় সদস্যের পরিবার চলে তাঁর বেসরকারি চাকরিজীবী বড় ছেলের আয়ে। আগে পাঁচ কেজি চাল দিত, বেশ উপকার হতো। এখন তিন কেজি চাল দেয়।

একই এলাকায় চাল কিনতে আসা হাসান মুরাদ বলেন, আগের মতো পাঁচ কেজি চাল পেলে সুবিধা হতো। চালের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ায় অখুশি তিনি।

খাদ্য পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে। সারিতে থাকা সকলেই চাল পেয়েছেন। তবে গরমে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে তিন কেজি চাল পাওয়াতে ক্রেতারা কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান ছিল ওএমএসের সর্বশেষ কার্যক্রম। সেই কার্যক্রমে ট্রাক ও পরিবেশকের দোকান থেকে একজন ক্রেতা ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল কিনতে পারতেন। ট্রাকপ্রতি বরাদ্দ এবারও দুই হাজার কেজি। তবে দোকানপ্রতি বরাদ্দ দেড় হাজার কেজি থেকে কমিয়ে এক হাজার কেজি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ফখরুল আলম বলেন, বেশি মানুষ যাতে চাল কিনতে পারেন, সে কারণে জনপ্রতি বরাদ্দ তিন কেজি করা হয়েছে। আগে একটি ট্রাক থেকে ৫ কেজি করে ৪০০ জন ক্রেতা চাল কিনতে পারতেন। এখন ৩ কেজি করে ৬৬৭ জন ক্রেতা চাল কিনতে পারবেন।