শিল্প-সাহিত্যচর্চার বিকাশে লিটল ম্যাগাজিন তথা ছোটকাগজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও এর মূল্যায়ন হয় না। এমনকি বিভিন্ন বইমেলা বা এমন আয়োজনগুলোয় ছোটকাগজকে তেমন গুরুত্বের চোখে দেখেন না আয়োজকেরা। কিন্তু একটি ছোটকাগজ যে কত গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে ইতিহাসে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ছোটকাগজচর্চায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য সম্পাদকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উঠে এল এসব মতামত। আজ বুধবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই ‘লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনী ও সম্মাননা–২০২৪’ অনুষ্ঠান।
ছোটকাগজচর্চায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য পেলেন সম্মাননা ছয় সম্পাদক। তাঁরা হলেন ‘চর্যাপদ’–এর সম্পাদক আযাদ নোমান, ‘লোক’–এর সম্পাদক অনিকেত শামীম, ‘ঘুংঘুর’–এর সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ‘জলধি’র সম্পাদক নাহিদা আশরাফি, ‘বুনন’–এর সম্পাদক খালেদ উদ-দীন এবং ‘হাওরকণ্ঠ’–এর সম্পাদক আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া স্বাধীনতা–পরবর্তীকালে বাংলাদেশে ছোটকাগজ সম্পাদনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় তিনজনকে। বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন ‘লোকায়ত’র সম্পাদক প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, ‘গণসাহিত্য’র সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি গবেষক মফিদুল হক এবং ‘ত্রৈমাসিক পত্রিকা’র সম্পাদক প্রয়াত মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক অধ্যাপক আবদুস সেলিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ এবং সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আজকের আলোচনায় বিভিন্ন সময় ছোটকাগজগুলোর প্রকাশনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরনের সংকটগুলো তৈরি হয়, সেগুলো তুলে ধরা হয়।
২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত ছোটকাগজ নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ ছোটকাগজকে সম্মাননা প্রদান করে আসছে।
আজ বুধবার ১০ জুলাই থেকে শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালায় শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।