চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার বিমানবন্দর সড়কে ট্রেনের চলন্ত ইঞ্জিনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় সড়কের মেঘনা অয়েলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেনের ইঞ্জিন আসার সংকেত উপেক্ষা করে বাস চালিয়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেলের কর্মকর্তারা দাবি করেন।
ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. আজিজুল হক (৩০), আসাদুজ্জামান (৩০) ও মিটন কান্তি দে (২৫)। এর মধ্যে আজিজুল রেলের পয়েন্টসম্যান। আসাদুজ্জামান নগরের চট্টগ্রাম ইপিজেডের ইয়াংওয়ান কারখানার কোয়ালিটি সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যজনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান প্রথম আলোকে বলেন, মেঘনা অয়েলে আগে থেকে তেলভর্তি ওয়াগন ছিল। সেগুলো আনার জন্য রেলের একটি ইঞ্জিন যাচ্ছিল। এ সময় সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু সংকেত উপেক্ষা করে একটি যাত্রীবাহী বাস রেলের ইঞ্জিনের ওপর এসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলের রেলের পয়েন্টসম্যান আজিজুল হক নিহত হন। বাসচালকের দোষেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই রেললাইনে তেলবাহী ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছিল। নগরের হালিশহরের চট্টগ্রাম পোর্ট গুডস ইয়ার্ড এলাকায় প্রবেশের মুহূর্তে তিনটি ওয়াগন লাইন থেকে পড়ে যায়। রেললাইনের ত্রুটি ও কর্মীদের অবহেলায় চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এলাকায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এই ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য ট্রেনচালকসহ চার কর্মীকে দায়ী করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।