আগামী মঙ্গলবার থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় এ আয়োজনের।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে এ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এ বছর দেশের ১২৮টি জায়গায় এ ভ্রাম্যমাণ মেলায় থাকবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিনটি গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতে থাকবে ১০ হাজার করে বই। এসব বই ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হবে। প্রতি জায়গায় পাঁচ দিন করে বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে বইমেলা।
আজ সকালে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মানেই স্মৃতিকাতর হওয়ার প্রসঙ্গ। গণগ্রন্থাগারের সঙ্গে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছিল বই পড়ার অন্যতম জায়গা। বর্তমান সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে সত্যিকারের আলোকিত মানুষ গড়ার পথ সুগম হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বই-ই পারে মানুষের হতাশা দূর করে জীবনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করতে। তাই বইপড়া উদ্যোগের সঙ্গে সব সময় একাত্মতা পোষণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুবিভাগ) নাফরিজা শ্যামা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বই সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারিয়া মাহবুবসহ অন্যরা।