বাংলাদেশের ইতিহাসে সারাহ ইসলামই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ব্রেন ডেথ থেকে মৃত্যুর আগে নিজের অঙ্গ দান করে চারজন মানুষের জীবনে আশা জাগিয়ে গেলেন।
মৃত্যু এক অবধারিত সত্য। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এই মৃত্যুর ধরনে রয়েছে নানা মত। ঐতিহাসিকভাবে একজন মানুষকে তখনই শুধু মৃত বলা হতো, যখন তার হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। একজন চিকিৎসক তখন ইসিজি করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন আইনসংগতভাবে।
তবে ৫০-৬০ বছর ধরে মৃত্যুর আরেকটি রূপ চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেটি হলো ব্রেন ডেথ বা ব্রেন স্টেম ডেথ। এ ধারণাটি ব্যবহৃত হয় ইউরোপ–যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের মৃত্যুকে বলা হয় হোল ব্রেন ডেথ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে মৃত্যুর এই সংজ্ঞাগুলো নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে বিগত কয়েক দশকে।
১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইনের মাধ্যমে দুই ধরনের মৃত্যুকে সংজ্ঞায়িত করা হয়। একটি হলো সারকুলেটরি ডেথ (হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধজনিত মৃত্য)। অন্যটি হোল ব্রেন ডেথ (মস্তিষ্কের পুরো কর্মকাণ্ড বন্ধ কিন্তু হৃদ্যন্ত্র সচল থাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত)। সারকুলেটরি ডেথ ইংল্যান্ডেও প্রচলিত। তবে হোল ব্রেন ডেথ ইংল্যান্ডে ব্রেন ডেথ বা ব্রেন স্টেম ডেথ নামে সংজ্ঞায়িত।
কোনো কারণে (স্ট্রোক, মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনো কারণে) যদি আমাদের ব্রেন স্টেমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তখন তাকে বলা হবে ব্রেন ডেথ। ব্রেন স্টেম হলো মস্তিষ্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য। মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর (হৃদ্যন্ত্র, ফুসফুসসহ অন্যান্য) নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হলো ব্রেন স্টেম। ব্রেন স্টেম অকার্যকর হয়ে গেলেও আমাদের হৃদ্যন্ত্রের মাংসপেশির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের সাহায্যে আরও কিছুদিন সেই মানুষটিকে (বা তার হৃদ্যন্ত্রকে) বাঁচিয়ে রাখা যায়। যদিও তার বাকি অঙ্গগুলো অকার্যকর হয়ে যায় অল্প সময়ের মধ্যেই। একমাত্র নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বিশেষ মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর (লাইফ সাপোর্ট) যন্ত্রের মাধ্যমে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস পরিচালনা করা হয় এবং অন্য অঙ্গগুলো সচল রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, ব্রেন ডেথ নিশ্চিত হয়ে গেলে সেই মানুষটি আর ফিরে আসবে না।
তখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়দের সামনে দুটো পথ খোলা থাকে। একটি হলো রোগী সুস্থ হবে না, জেনে তাকে নিজ দায়িত্বে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া কিংবা তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া, যদিও তাতে করে রোগীর কোনো উপকার হবে না। রোগীকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত তার অভিভাবককেই নিতে হবে। কারণ, কোনো চিকিৎসক নিজ দায়িত্বে এ সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করার অধিকার রাখেন না।
প্রশ্ন উঠতে পারে যে কেন এই ব্রেন ডেথ সংজ্ঞার প্রয়োজন হলো? কারণ, খুব পরিষ্কার। উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে আছে ব্যয়বহুল আইসিইউ চিকিৎসা থেকে পরিবারকে রক্ষা করা (কারণ, রোগীর কোনো উপকার হচ্ছে না), রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য করা, পরিবারকে অহেতুক আশ্বাস থেকে রক্ষা করা, যেন তাঁরা ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে সর্বস্ব না হারান।
সর্বোপরি ঘোষিত মৃতদেহ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগ্রহ (পরিবারের অনুমতিক্রমে) করে তা অন্য কারও শরীরে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ তৈরির ব্যবস্থা করা, যাতে আরেকজন মানুষের জীবন রক্ষা করার চেষ্টার সুযোগ থাকে। জেনে রাখা ভালো, একজন ব্রেন ডেথ মানুষের দেওয়া অঙ্গগুলোর মাধ্যমে মোট আটজন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব। দুটি কিডনি, দুটি ফুসফুস, একটি হৃদ্যন্ত্র, একটি অগ্ন্যাশয়, পূর্ণাঙ্গ অন্ত্রনালি এবং যকৃৎ। উন্নত দেশগুলোয় অনেক আগে থেকে ব্রেন ডেথ রোগীর শরীর থেকে অঙ্গগুলো সংগ্রহ করে অন্যের জীবন রক্ষা করার কাজ প্রচলিত আছে।
জটিল এই প্রক্রিয়া আইনসংগত করার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯ জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে এই আইনের কিছু সংশোধনী আসে। ফলে বাংলাদেশে এই আইনের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার সুযোগ পান। একই আইনের মাধ্যমে এমন রোগীর আত্মীয়দের বোঝানোর (কাউন্সিলিং) সুযোগ তৈরি হয়, যাতে ব্রেন ডেথ ঘোষণার পর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অন্যকে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সম্মতি দেন।
রোগীর পরিবার বা আত্মীয়ের সম্মতির পরই কেবল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হয়। কারণ, যেকোনো সময় রোগীর হৃদ্যন্ত্রও বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এমনটি হলে ওই রোগীর অঙ্গগুলো অন্য কারও উপকারে আসবে না। কিডনির ক্ষেত্রে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার ছয় ঘণ্টার মধ্যে বা যকৃতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা সংগ্রহ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ততই ভালো ফল আশা করা যায়।
আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা–নিরীক্ষায় কোনো রোগীকে ব্রেন ডেথ হিসেবে সন্দেহে হলে আইন অনুযায়ী সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিষয়টি ব্রেন ডেথ ডিক্লারেশন কমিটিকে অবহিত করবেন। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ পর্যায়ের সব হাসপাতালে ব্রেন ডেথ ডিক্লারেশন কমিটি থাকতে হবে। তিন সদস্যবিশিষ্ট ডিক্লারেশন কমিটি তখন (তিন স্তরবিশিষ্ট) পরীক্ষা করে রোগীকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করবে। তারপর আইসিইউ বিশেষজ্ঞ অবহিত করবেন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন সমন্বয়কারীকে।
এ পর্যায়ে সমন্বয়কারী একজনকে (অফিশিয়াল গ্রিফ কাউন্সিলর) নিযুক্ত করবেন, যিনি রোগীর অভিভাবককে অঙ্গদানের বিষয়ে বোঝাবেন। রোগীর পরিবার অঙ্গদানে সম্মতি দিলে তা প্রতিস্থাপন সমন্বয়কারী বিষয়টি প্রতিস্থাপন মেডিকেল বোর্ডকে জানাবেন। এই বোর্ডে থাকেন সার্জন, অবেদনবিদ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। প্রতিস্থাপন মেডিকেল বোর্ড তখন আইন অনুযায়ী সঠিক অঙ্গগ্রহীতা খুঁজে বের করে। এরপর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারের কাজটি শেষ হয়।
আইন অনুযায়ী একই চিকিৎসক একাধিক দলের সদস্য হতে পারবেন না। বিতর্ক এড়ানোর জন্য এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রয়েছে আইনে। ব্রেন ডেথ ঘোষণা থেকে অস্ত্রোপচারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত রোগীর শরীরের অঙ্গগুলো সচল রাখার দায়িত্ব আইসিইউ বিশেষজ্ঞদের। এই কাজটি অত্যন্ত জটিল।
কাজটি ঠিকভাবে না হলে সংগৃহীত অঙ্গগুলো কারও উপকারে আসবে না। পুরো কাজটি সফল করতে প্রয়োজন সুদক্ষ একাধিক দল, যারা বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে দিন–রাত কাজ করেন এ ধরনের রোগীর স্বার্থে।
আমাদের দেশের আইসিইউতেও অনেক সময় ব্রেন ডেথ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাঁদের সময়মতো ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা যায় না। একটি কারণ হলো এ ধরনের মৃত্যুর ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। তাঁরা এই রোগীকে মৃত বলে মেনে নিতে চান না। কারণ, তখনো রোগীর হৃদ্যন্ত্র সচল থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও অনাহূত বিপদের আশঙ্কায় ব্রেন ডেথ ঘোষণা এড়িয়ে যেতে চান। অনেক হাসপাতালে হয়তো ব্রেন ডেথ ঘোষণাদানকারী কমিটি থাকে না।
একজন সারাহ ইসলামের মাধ্যমে আলোকিত হয়ে উঠেছে ব্রেন ডেথের ধারণা। সারাহ ইসলাম ২০ বছরের এক তরুণী। তাঁর মা শবনম সুলতানা একজন শিক্ষক। জন্মের মাত্র ১০ মাস পরেই ধরা পড়ে যে সারাহ ইসলাম টিউবেরাস স্ক্লেরোসিস রোগে আক্রান্ত। মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেশি, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তখন থেকে সারাহ ও তার পরিবারের যুদ্ধ শুরু হয় এই রোগটির বিরুদ্ধে। দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর সারাহ এই রোগটির সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।
সম্প্রতি সারাহর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভর্তি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে। আইসিইউ অধ্যাপক কামরুল হুদা তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কামরুল হুদা সারাহর ব্রেন ডেথ হয়েছে, এমন আশঙ্কা করেন। তখন আইসিইউর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আমি সারাহর সম্পূর্ণ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করি।
এরপর ব্রেন ডেথ ডিক্লারেশন কমিটিকে অবহিত করি। তারা মতামত দেয় যে সারাহর ব্রেন ডেথ হয়েছে। তখন সারাহর পরিবারকে কাউন্সেলিং করা হয়। সারাহর মা স্বেচ্ছায় কিডনি ও কর্নিয়া প্রদানে সম্মতি দেন। তিনি জানান যে সারার নিজেরও ইচ্ছা ছিল যেন তাঁর মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়।
সারাহ ইসলাম মেধাবী একজন ছাত্রী ছিলেন। জটিল এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করেও তিনি সাফল্যের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে চারুকলায় স্নাতকে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সুদক্ষ চিত্রশল্পী ছিলেন। মানবতাবাদী ছিলেন। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন। তাই তাঁর মা শবনম সুলতানা তাঁর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে এই অঙ্গদানে সম্মতি দিয়েছেন।
সম্মতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিস্থাপন সমন্বয়কের মাধ্যমে বিএসএমএমইউর প্রতিস্থাপন মেডিকেল টিমকে জানানো হয়। তাঁরা শুরু করেন সঠিক অঙ্গগ্রহীতার খোঁজ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে ছয়জন সম্ভাব্য রোগীকে পরীক্ষা করে তারা তিনজনকে খুঁজে পান। সেখান থেকে দুজনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়। তৎক্ষণাৎ ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টা থেকে জটিল এই অস্ত্রোপচার শুরু হয় এবং শেষ হয় পরদিন ভোর প্রায় পাঁচটার দিকে।
আইন অনুযায়ী গঠিত প্রতিটি টিম এখানে সুদক্ষভাবে কাজ করেছে। যার সর্বোচ্চ নেতৃত্বে ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। প্রতিস্থাপন দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউরোলজিস্ট ও ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। ইউরোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, অবেদনবিদ, আইসিইউবিশেষজ্ঞ, কিডনি ফাউন্ডেশন, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান কমিটি—সবাই সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে এই কাজে যুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়াটি অতিসংক্ষেপে এভাবেই বর্ণনা করার চেষ্টা করলাম।
সারাহর দুটি কিডনি দুজন মানুষের দেহে সংযোজন করা হয়েছে। আর তাঁর দুটি কর্নিয়া আরও দুজন মানুষের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই এখন পর্যন্ত ভালো আছেন। আশা করছি, সারাহর দেওয়া উপহারে এই চারজন মানুষের জীবন বেঁচে যাবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সারাহ ইসলামই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ব্রেন ডেথ থেকে মৃত্যুর আগে নিজের অঙ্গ দান করে চারজন মানুষের জীবনে আশা জাগিয়ে গেলেন।
সারাহ ইসলামের দিয়ে যাওয়া উপহার সবচেয়ে দামি উপহার। জীবনদায়ী উপহার। একজন মানুষ কতটুকু মহান হলে এই কাজ করতে পারেন! সারাহ দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে মৃত্যুকে পরাজিত করা যায়। মৃত্যুর পরও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকা যায়। মৃত্যুর পরও কীভাবে অন্য মানুষের উপকার করা যায়। আমার কাছে সারাহ ইসলাম হলো মানবতার প্রকৃত ফেরিওয়ালা।
নশ্বর দেহের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অমর এক প্রাণের নাম হলো সারাহ ইসলাম। বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে আপনার নাম চিরদিন খোদাই হয়ে থাকবে। মানবতার জগতে আপনি আমাদের কাছে এক অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবেন।
আপনার চিকিৎসায় আইসিইউ চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরে আমি গর্বিত। ভালো থাকুন। খুব ভালো থাকুন। আর কোনো রোগব্যাধি আপনাকে কখনো স্পর্শ করতে পারবে না। পরম করুণাময় আপনাকে সম্মানিত করুন, এই প্রত্যাশা। ভালো থাকুন সারাহ ইসলাম।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সহকারী অধ্যাপক (আইসিইউ), বিএসএমএমইউ