জাতিসংঘের একটি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে মতপ্রকাশ, গণমাধ্যম ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে অঙ্গীকারের কথা বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি উইন লুইস।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে উইন লুইস এ কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার এক ঘণ্টা পর উইন লুইস এ বিবৃতি দেন। ওই সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়ে ২৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উইন লুইস বলেন, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, রাজনৈতিক ও অন্য যেকোনো বিষয়ে মতপার্থক্য দূরে রেখে বিশ্বের সবার মানবাধিকার রক্ষায় ঐকমত্যে পৌঁছায়।
উইন লুইস আরও বলেন, ‘করোনা মহামারি, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চলতি বছর সারা বিশ্বে অসহায় মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের মৌলিক মানবাধিকার, তাদের সুরক্ষা ও শান্তিতে বসবাস করার অধিকারের বিষয়টি আমাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।’
জন্মগতভাবে সব মানুষ স্বাধীন এবং মর্যাদা ও অধিকারের ক্ষেত্রে সমান—সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের এই বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের সব মানুষের সঙ্গে এ ব্যাপারে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং সবার সমান অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে অতীতের মতোই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছে।