‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী
‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী

‘শিশু বক্তা’রফিকুল কারামুক্ত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪ মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশু বক্তা’রফিকুল

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক চারটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী (২৯)। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলম আজ বুধবার এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে চারটি মামলার বিচার চলমান ছিল। আজ আদালত চারটি মামলা থেকেই তাঁকে খালাস দিয়েছেন।

আইনজীবী ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা, তেজগাঁও থানা, মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত, ভীতি প্রদর্শন, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়। চারটি মামলা তদন্ত করে ২০২১ সালেই তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে মামলাগুলো বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসে। ২০২২ সালে চারটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সব কটি মামলাতেই মাদানী গত বছরের নভেম্বরে জামিনে মুক্তি পান।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চারটি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। রফিকুল ইসলাম মাদানীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী এক দরখাস্ত দিয়ে চারটি মামলা থেকেই অব্যাহতি চান। তাতে উল্লেখ করেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন রফিকুল ইসলাম। পরে আদালত এই চার মামলা থেকে তাঁকে খালাস দেন।

উল্লেখ্য, রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার ছেলে। তাঁকে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল নেত্রকোনার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব।