সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট

‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই আইনজীবী, আদেশ ১৮ মার্চ

‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দুই আইনজীবী। তাঁরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে আজ রোববার লিখিতভাবে এই দুই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা চান। আদালত আগামী ১৮ মার্চ আদেশের জন্য তারিখ রেখেছেন।

নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাকারী দুই আইনজীবী হলেন মোহাম্মদ মহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের এই কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে আইনজীবী মহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদলের ১ জানুয়ারি দেওয়া চিঠি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় গ্রহণ করে। পরদিন চিঠিটি প্রধান বিচারপতির সামনে উপস্থাপন করা হয়। চিঠিতে মহসীন রশিদ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও শাহ আহমেদ বাদল সদস্যসচিব বলে উল্লেখ করেন।

চিঠির বিষয়টি উত্থাপিত হলে গত ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আইনজীবীকে ওই বিষয়ে নিজেদের ভূমিকার ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেন। তাঁদের ১১ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) রয়েছে, যা রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

ধার্য তারিখে দুই আইনজীবী আদালতে হাজির হন। এ বিষয়ে শুনানি হয়। পাশাপাশি সময়ের আরজি জানান দুজনের আইনজীবী। সেদিন আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এই সময়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের কোনো বেঞ্চে (আদালতে) মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

আগের ধারাবাহিকতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি আদালতে ওঠে। সেদিন দুই আইনজীবী আদালতে হাজির ছিলেন। তাঁদের পক্ষে আদালতে লিখিত বক্তব্য দাখিল করা হয়। তাঁদের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আদালত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য তারিখ রাখেন। এই সময় পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোনো বেঞ্চে (আদালতে) দুই আইনজীবীর মামলা পরিচালনা না করার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।

আদালতে দুই আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে আইনজীবী মহসীন রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের মামলা পরিচালনা না করতে দেওয়ার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন আদালত। ১৮ মার্চ আদেশের জন্য আদালত তারিখ রেখেছেন। সেদিন তাঁদের উপস্থিত হতে হবে।