লন্ডনে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে ‘১৯৭১: বাংলাদেশ সৃষ্টির বৈশ্বিক ইতিহাস’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়
লন্ডনে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে ‘১৯৭১: বাংলাদেশ সৃষ্টির বৈশ্বিক ইতিহাস’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়

লন্ডনে ‘১৯৭১: বাংলাদেশ সৃষ্টির বৈশ্বিক ইতিহাস’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘১৯৭১: বাংলাদেশের সৃষ্টিতে বৈশ্বিক ইতিহাস’ অনুবাদ বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌধ ইন্টারন্যাশনাল লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের এক অধিবেশনে এই প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

ডেভিড সাইজার লেকচার থিয়েটারে এই উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য ও চলচ্চিত্র বিভাগ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ইংরেজি মূল বই শ্রীনাথ রাঘবন রচিত ‘1971 A Global History of the Creation of Bangladesh’ ও কাজী জাওয়াদের অনুদিত বইটি পড়ার ও দেখার কিছু অনন্য পদ্ধতি ও গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন অর্থনীতিবিদ ও  জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সাবেক পরিচালক সেলিম জাহান, লেখক ও সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এথনো গ্লোবাল হেলথের অধ্যাপক শাহাদুজ্জামান, কথাসাহিত্যিক ও কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এশরার লতিফ।

সেলিম জাহান বলেন, মূল বইটিতে ১৯৭১-এর যুদ্ধের অর্থনৈতিক দিকটির ওপর গবেষক শ্রীনাথ রাঘবন কম দৃষ্টি দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন অনুবাদটিতে বাংলা প্রবাদের ব্যবহার ভাষান্তরের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।

শাহাদুজ্জামান বলেন, তিনি মূল বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের ইতিহাস জানতে আগ্রহী ছিলেন। অনুবাদ বইটিতে অনুবাদের স্বচ্ছতা ও ভাষার গতিময়তার প্রশংসা করেন তিনি।

মূল বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় বলে উল্লেখ করেন এশরার লতিফ। তিনি অনুবাদে ভাষার সারল্য ও নতুন শব্দসৃষ্টির প্রশংসা করেন।

অনুবাদকের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে কাজী জাওয়াদ মূল বইটি সম্পর্কে তাঁর আগ্রহের কারণ জানান। তিনি বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্বার্থ টিকিয়ে রাখার জন্য যেভাবে ১৯৪৭-এ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল, ১৯৭১-এ বাংলাদেশ তা পাল্টে দিয়েছে। যা উপমহাদেশের অন্য কোনো জাতি করতে পারেনি, তবে আরও কাজ বাকি আছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড সিনেমা বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক অশ্বিন দেবাসুন্দরাম শ্রোতাদের স্বাগত জানান।

অনুবাদ ও মূল বই থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান কবি ও সাংবাদিক সারোয়ার ই আলম, বিবিসি স্লাম চ্যাম্পিয়ন কবি ডেভিড লি মরগান, লেখক ও আবৃত্তিকার জাকি রেজওয়ানা আনোয়ার এবং কবি ও সাংবাদিক সেলিনা রে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ শাহিদ আলী, সাংস্কৃতিক কর্মী শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, মাহমুদ হাসান, অনন্ত কাশেম, লেখক আমিনা তাবাসসুম, চিত্রশিল্পী সোনিয়া ইয়াসমিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সৌধ পরিচালক কবি টি এম আহমেদ কায়সার।