বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্তসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া বিটিসিএলের অধীন বাস্তবায়নাধীন ‘ফাইভ-জির উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজের বিপরীতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। ওই দরপত্র বাতিল করাকে কেন্দ্র করে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নেওয়া কার্যধারার কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।
‘অসদাচরণের’ জন্য আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে ৭ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ওই প্রকল্পের একটি প্যাকেজের বিপরীতে দরপত্র ‘বিধিবহির্ভূতভাবে’ বাতিল করাকে কেন্দ্র করে ৮ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগসহ কারণ দর্শাতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরী হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালতে তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. সাখাওয়াত হোসেন।
পরে আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিভিউ প্যানেলের (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা) নির্দেশনা অনুসারে বিটিসিএলের পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। রিভিউ প্যানেল-২-এর সিদ্ধান্তের ওই অংশবিশেষ চ্যালেঞ্জ করে আসাদুজ্জামান চৌধুরী রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দিয়ে অব্যাহতির আদেশ এবং তাঁর ক্ষেত্রে রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্তও স্থগিত করেন।
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, অব্যাহতির আদেশ স্থগিতের বিরুদ্ধে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ নভেম্বর চেম্বার আদালত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। কেননা ইতিমধ্যে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বিষয়ে রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকে। পরে আসাদুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত করা ও তাঁর বিরুদ্ধে কার্যধারা গ্রহণের বৈধতা নিয়ে সম্পূরক আবেদন করেন। আজ এ-সংক্রান্ত দুটি সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নেওয়া অভিযোগসহ নেওয়া কার্যধারার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।