বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে মির্জা আব্বাসকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শাহজাহানপুর থানার মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মির্জা আব্বাসকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। মির্জা আব্বাস আদালতকে বলেছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাঁকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে আদালত যেন কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। আদালত এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান।
পরে মির্জা আব্বাসকে দুদকের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬–এ হাজির করা হয়। আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত ২ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করেছিলেন। তবে যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায় থেকে মামলাটির সাফাই সাক্ষ্যের শুনানির জন্য দিন ধার্য করার আবেদন করেন মির্জা আব্বাস। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৮ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ১৪ মে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।