পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে জড়ো হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে কর্মীরা লাঠিসোঁটা, ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে মোড়ে জড়ো হন। দুপুর ১২টায় প্রতিবেদন লেখার সময় তাঁরা নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সরেজমিন দেখা যায়, কড়া রোদের তীব্র তাপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা আন্দোলনকারীরা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। কয়েক শ শিক্ষার্থী মোড়ের চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছেন। তাঁরা ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘প্রতিবিপ্লব ঠেকিয়ে দাও’, ‘ধর ধর স্বৈরাচার ধর, কর কর বিচার কর’, ‘আমাদের বিপ্লব, চলছে চলবে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে নিউমার্কেট মোড়ের চারপাশে যান চলাচল আটকে গেছে।
মাঝেমধ্যে রিকশা ও দু–একটি মোটরসাইকেল চলাচল করতে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের মুখে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের দুজন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইসলাম ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগীরা আজ ১৫ আগস্টে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। তারা ‘পাল্টা অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা করতে পারেন, এমন খবরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছে। সব ধরনের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে। কোথাও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের পাওয়া গেলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।’
আন্দোলনকারীরা বলেন, সপ্তাহব্যাপী রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। হাজার হাজার আন্দোলনকারী মাঠ থেকে উঠে যাননি। সড়কে সড়কে এখনো শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ করছেন। দেয়াললিখনও চলছে। স্বৈরাচারদের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। বেলা ১২টা ১৯ মিনিটে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন, বিক্ষোভ, সংঘাত ও সহিংসতার মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা, সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা। এরপর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।