শিল্পী লুবনা মারিয়াম
শিল্পী লুবনা মারিয়াম

আইসিএইচ এনজিও ফোরামের নির্বাহী পর্ষদে বাংলাদেশি শিল্পী লুবনা মারিয়াম

ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ (আইসিএইচ) বা নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এনজিও ফোরামের নির্বাহী পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পী, সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠক ও গবেষক লুবনা মারিয়াম। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে লুবনা মারিয়াম জানিয়েছেন।

৩ ডিসেম্বর অনলাইনে ২৮০টি আন্তর্জাতিক এনজিওর প্রতিনিধিদের ভোটে পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হন লুবনা মারিয়াম। এতে করে আগামী দুই বছরের জন্য (২০২৪-২৬) আইসিএইচ এনজিও ফোরামের নির্বাহী পর্ষদে সদস্য হিসেবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। আইসিএইচ এনজিও ফোরাম ইউনেসকো স্বীকৃত এনজিওগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, সহযোগিতা ও নেটওয়ার্কিংকে উৎসাহিত করে। ২০০৩ ইউনেসকো কনভেনশনের উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

লুবনা মারিয়াম আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সমস্যা হচ্ছে সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য অধিকাংশ কাজগুলো করে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা–এনজিও। এই সংরক্ষণ নিয়ে সরকারের কোনো সুনিশ্চিত পরিকল্পনা থাকে না। ইউনেসকো কনভেনশনে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে যুক্ত হলেও কাজ কম হয়েছে। আমার লক্ষ্য থাকবে শুধু বাংলাদেশ নয়, সব জায়গাতেই সংস্কৃতি সংরক্ষণে সরকারের সঙ্গে ইউনেসকো ও এনজিওগুলোর দূরত্ব কমিয়ে বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরি করা।’

আইসিএইচ এনজিও ফোরামের নির্বাহী বোর্ডে বিভিন্ন অঞ্চলের সাতজন সদস্য থাকেন। স্বীকৃত আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর প্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে দুই বছরের জন্য তাদের নির্বাচন করেন। গত ৩ ডিসেম্বর তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর আইসিএইচ এনজিও ফোরাম তাদের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে লুবনা মারিয়ামকে নির্বাহী পর্ষদের সদস্য হওয়ায় অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

আইসিএইচ এনজিও ফোরামের নির্বাহী পর্ষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে লুবনা মারিয়াম  

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন লুবনা মারিয়াম। আইসিএইচ এনজিও ফোরামের নির্বাহী পর্ষদের সদস্য হিসেবে সহকর্মীদের নিয়ে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জ্ঞানবিনিময় বৃদ্ধি এবং আইসিএইচ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর আন্তসরকারি কমিটিকে পরামর্শ দেবেন।

২০০৮ সালে বাংলাদেশের বাউলগান, ২০১৩ সালে জামদানি বুননশিল্প, ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা, ২০১৭ সালে শীতলপাটি বুননশিল্প এবং ২০২৩ সালে রিকশা চিত্র বিমূর্ত ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে।