ইজতেমা
ইজতেমা

ইজতেমায় মুসল্লিদের যেসব বিষয় মেনে চলতে বলেছে পুলিশ

বিশ্ব ইজতেমা নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে আগত মুসল্লিদের কয়েকটি বিষয় মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দুই পর্বে গাজীপুরের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগত মুসল্লিদের ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে। মুসল্লিরা নির্ধারিত খিত্তায় (এলাকাভিত্তিক মুসল্লিদের জন্য নির্ধারিত স্থান) অবস্থান করবেন। অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং কোনো পোঁটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে।

এ ছাড়া টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একা বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা না করতে এবং এসব সামগ্রী নিজ হেফাজতে রাখার কথাও বলা হয়েছে। আর টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাতে বলা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুসল্লিদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, হকার বা ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পরে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। মুসল্লিদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটানো যাবে না। অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নিতে হবে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে বা অন্য যানবাহনে চলাচল না করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও বলা হয়, ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী থানা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। রান্নার সময় আগুনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের থাকার স্থানে ধূমপান করা যাবে না। খিত্তায় সব সময় পানি মজুত রাখতে হবে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী উড়ালসড়ক পর্যন্ত, টঙ্গী উড়ালসড়ক থেকে চৌরাস্তা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগানো যাবে না।

সবশেষে জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে বলেছে পুলিশ।