১৯৫৩ সালে বছরে ৩০ হাজার টন কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম কাগজ কারখানাটি। ঋণে-লোকসানে জর্জরিত হয়ে এখন ‘মুমূর্ষু’ অবস্থা।
দেশের প্রথম কাগজ কারখানা কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম)। প্রতিষ্ঠানটির মানসম্পন্ন কাগজের কদর ছিল দেশজুড়ে। প্রকাশনাসহ নানা কাজে ব্যবহার হতো সেই কাগজ। এখন এসব অতীত। ধাপে ধাপে কমেছে উৎপাদন, কমেছে আয়। ঋণে-লোকসানে জর্জরিত হয়ে ‘মুমূর্ষু’ অবস্থা প্রতিষ্ঠানটির।
১৯৫৩ সালে বছরে ৩০ হাজার টন কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল কেপিএম। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলীর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই প্রতিষ্ঠান ‘মান্ধাতার আমলের’ প্রযুক্তি ও কম জনবলে এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বছরের অর্ধেক সময় বন্ধ থাকছে কারখানার উৎপাদন। ফলে এখন বছরে উৎপাদন ঠেকেছে ২ থেকে ৬ হাজার টনে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে কেপিএম পরিচালিত হয়। ১ লাখ ২৭ হাজার একর জায়গা নিয়ে কারখানাটি অবস্থিত। তিন দশকের বেশি সময় ধরে কারখানায় বড় কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। যন্ত্রপাতিগুলো ক্ষণে ক্ষণে বিকল হয়ে পড়ে। আবার বাজারের বিক্রয়মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বাড়তি হওয়ায় লোকসানই গুনতে হচ্ছে।
গত ২ জানুয়ারি চন্দ্রঘোনায় গিয়ে দেখা যায়, বেহাল কারখানাটি যেন এক যুদ্ধবিধ্বস্ত নগর। জরাজীর্ণ ভবনগুলোর ছাদ ভেঙে গেছে। পলেস্তারা খসে ক্ষয়ে যাচ্ছে দেয়াল। কারখানার প্রায় সব যন্ত্রপাতি পুরোনো, একেবারে শুরুর দিকে বসানো। মরিচা পড়েছে এসব যন্ত্রপাতিতে।
ঘুরে দেখা গেল, কারখানাটির গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান্ট ৯টি। এগুলো হলো চিপস ওয়াশিং প্ল্যান্ট, পাল্প স্ক্রিনিং প্ল্যান্ট, বাঁশ ও কাঠকে মণ্ডে রূপান্তর করার প্ল্যান্ট, মণ্ড সাদা করাসহ নানা কাজের জন্য ব্লিচিং টাওয়ার, কেমিক্যাল প্ল্যান্ট, অক্সিজেন সিস্টেম, বয়লার, এয়ার কম্প্রেশার ও কাগজ তৈরির মূল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে কেমিক্যাল প্ল্যান্ট বন্ধ অন্তত ১০ বছর ধরে।
কারখানার ২ নম্বর ফটক দিয়ে ঢুকে ঢালু রাস্তা ধরে কিছুটা এগোলেই চিপস ওয়াশিং প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টে বাঁশ ও কাঠকে টুকরা টুকরা করা হয়। এটির দুটি ভাগ। একটি অংশের ছাদই নেই। আরেকটি অংশে টিনের ছাউনি। সেই টিনও ফুটো হয়ে গেছে। দেয়ালে ফাটল। চারপাশে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে আছে। কর্তব্যরত শ্রমিকেরা জানান, প্ল্যান্টটি বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে হঠাৎ চালু করা হয়। তবে কাজ তেমন একটা হয় না।
ওয়াশিং প্ল্যান্টের পাশে মণ্ড তৈরির প্ল্যান্ট। ২০১৭ সালে থেকে প্ল্যান্টটি বন্ধ। সরেজমিনে দেখা যায়, যন্ত্রগুলো পড়ে আছে। আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পচা বাঁশ আর কাঠের টুকরো। দেয়ালের গায়ে জন্মেছে শেওলা। কর্মকর্তারা জানান, এটি বন্ধ থাকায় কাগজ তৈরির পাল্প বা মণ্ড আমদানি করে কর্তৃপক্ষ।
মণ্ড তৈরির প্ল্যান্টের মতো অবস্থা ব্লিচিং টাওয়ারেরও। ২০১০ সালের দিকে প্রায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এটি। নতুন তৈরি এই প্ল্যান্ট অন্তত তিন বছর ধরে কোনো কাজে আসছে না। প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই প্ল্যান্টে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করে মণ্ডকে সাদা করা হতো। বিশেষত ক্লোরিনের মাধ্যমে মণ্ডকে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। কিন্তু ক্লোরিনের যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্ল্যান্টটি বন্ধ রয়েছে।
অভিযোগ আছে, ব্লিচিং টাওয়ার চালুর সময়েই নিম্নমানের যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে শুরুর চার থেকে পাঁচ বছরের মাথায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল হওয়া শুরু করে। কেপিএমের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার কারণে গ্যাসচালিত এই বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে চালু হয়েছে।
কাগজ তৈরির মূল প্ল্যান্টে ঢুকতেই একটি ব্যানারে লেখা আছে, ‘অধিক উৎপাদন, অধিক মুনাফা’। কিন্তু বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। বরং উৎপাদন করলেই লোকসানে পড়েছে। ফলে মুনাফার প্রশ্নই আসছে না।
সর্বশেষ ২০০৮-০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লাভ করেছিল। তখন কাগজের উৎপাদন ছিল ২৪ হাজার ২০০ টন। এরপর আর লাভের মুখ দেখা যায়নি। কারখানার হিসাব বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বিসিআইসির কাছ থেকে কেপিএমের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঋণ আছে।
বর্তমানে কেপিএমে ৪১ কর্মকর্তা, ৩৯ কর্মচারী ও ১৮০ জন শ্রমিক আছেন। কেপিএমের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বেতনভাতা বাবদ মাসে প্রায় এক কোটি টাকা করে বছরে অন্তত ১২ কোটি টাকা খরচ হয়। প্রতি টন কাগজ উৎপাদনে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়। কারণ, কেপিএমে এখন প্রতি টন কাগজ উৎপাদনে খরচ হয় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রয় মূল্য ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। বেতনভাতা, মেরামত, উৎপাদন ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি মিলিয়ে বছরে গড়ে ৪৫ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠাকালে এই কারখানার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার টন। সর্বশেষ ২০২১-২২ সালে কাগজ উৎপাদিত হয় ২ হাজার ২৭৬ টন। বিসিআইসির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১০ বছরে কেপিএম লোকসান দিয়েছে ৪৫৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
অথচ এক দশক আগেও সব মিলিয়ে ৫ হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু দুরবস্থার কারণে অনেক শ্রমিককে বিসিআইসির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করা হয়েছে। বদলি কিংবা অবসরে যাওয়া শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের পিএফ (ভবিষ্য তহবিল) ও গ্র্যাচুইটি পাননি। তবে গত কয়েক বছরে এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে কেপিএম। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ
করা হয়েছে।
কিন্তু উৎপাদন বন্ধ থাকায় বর্তমান শ্রমিক-কর্মচারীরা হতাশ। ২ জানুয়ারি পেপার কারখানায় অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছিলেন শ্রমিক কামাল উদ্দিন। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি কেপিএমে কর্মরত। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কামাল বলেন, ‘কেপিএমের আগের জৌলুশ এখন আর নেই। এখন মেশিন চলে না। উৎপাদন হয় না। কাজ নেই। এমন দুরবস্থা দেখে মাঝেমধ্যে হতাশ হয়ে পড়ি।’ আরেক শ্রমিক মন্টু দাশ ১৯৯১ সাল থেকে কেপিএমে কাজ করছেন। তিনি জানান, কাজ না থাকায় অনেক শ্রমিক কারখানা ছেড়ে চলে গেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালে প্রকাশিত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেপিএমের যন্ত্রগুলো পুরোনো। বড় সংস্কারের কাজ তিন দশক ধরে হয়নি। ঠিকমতো হয় না রক্ষণাবেক্ষণের কাজও। এ কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম ঘন ঘন ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে লোকসান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
কর্মকর্তারা বলছেন, কারখানায় এখন বছরে ছয় থেকে সাত মাস উৎপাদন বন্ধ থাকছে। পুরোনো যন্ত্রপাতিগুলো সংস্কারের সুযোগ নেই। যন্ত্রাংশগুলো বাজারে পাওয়া যায় না। ফলে সংস্কার করলেও তেমন ফল হবে না। তবে কেপিএমের এমন দুরবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকেরা। তাঁরা বলছেন, যন্ত্রগুলো যখন সংস্কারের দরকার ছিল, তখন সে কাজ করা হয়নি। দিনের পর দিন ফেলে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষ জনবল নিয়োগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। নিয়োগে ছিল স্বজনপ্রীতি।
কেপিএমের বর্তমান অবস্থা কীভাবে হলো তা জানতে গত দুই মাসে বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে ২৫ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। পাশাপাশি বিসিআইসির ৩ কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা হয়। তাঁরা কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কার্যালয়ে গেলেও বক্তব্য দেননি সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার সরকার। এরপর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আনিসুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম এ কাদের বলেন, শুধু পুরোনো যন্ত্রপাতির কারণে কেপিএমের এমন দুরবস্থা হয়নি। দক্ষ জনবলের সংকটের কারণেও প্রতিষ্ঠানটি আজ এ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় লোকসান কম ছিল। এখন সেটি বেড়ে তিন গুণ হয়ে গেছে। এর পেছনে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনাই দায়ী।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বছরে কাগজের চাহিদা ১৫ থেকে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় ১০ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন। বাকি কাগজ আমদানি করতে হয় বিভিন্ন দেশ থেকে।
সূত্র জানায়, কেপিএমে একসময় ২৩ রকমের কাগজ উৎপাদন হতো। এখন উৎপাদন হয় তিন থেকে চার ধরনের কাগজ—সাদা কাগজ, স্পেশাল রাইটিং, রঙিন কাগজ ও ব্রাউন সালফেট কাগজ। সেই কাগজেরও মান কমে গেছে বলে জানান বিভিন্ন ছাপাখানা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরা।
নগরের প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বলাকা প্রকাশনের কর্ণধার জামাল উদ্দিন অনেকটা আক্ষেপের সুরে প্রথম আলোকে বলেন, শুরুতে কেপিএমের কাগজ দিয়ে তাঁরা বই ছাপাতেন। নিজস্ব মণ্ড দিয়ে এসব কাগজ তৈরি করা হতো। এ কারণে মানও ভালো ছিল। কিন্তু এরপর ধাপে ধাপে কাগজের মান কমতে থাকে। এমনকি চাহিদা অনুযায়ী কাগজও দিতে পারছিল না। এ কারণে বছর দশেক আগে কেপিএম থেকে তাঁরা কাগজ কেনা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কিনে বই ছাপাচ্ছেন। তিনিও কেপিএমের দুরবস্থার জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ ও বিসিআইসিকে দায়ী করেন।
কেপিএমের পুরোনো যন্ত্রপাতি বদলে নতুন পাঁচটি কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করছে বিসিআইসি। কেপিএমের কর্মকর্তারা জানান, নতুন কারখানায় থাকবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। এটি হবে সমন্বিত কারখানা। থাকবে বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ নানা সুবিধা। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
কেপিএমের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম সালামের সঙ্গে। তিনি সম্প্রতি বিসিআইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এস এম সালাম প্রথম আলোকে বলেন, এখন কেপিএমে যে যন্ত্রপাতি রয়েছে, তা দিয়ে মানসম্মত কাগজ তৈরি করা সম্ভব নয়। একসময় সরকারি বইপত্র ছাপানো হতো কেপিএমের কাগজ দিয়ে। এখন ছাপতে গেলে কালি ছড়িয়ে যায়। ফলে ওখানে নতুন করে কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে প্রতিবছর ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা লোকসান দেওয়ার মতো আর্থিক বিলাসিতা সরকারের নেই বলে মনে করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, কেপিএম নিয়ে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিসিআইসির অধীনে যেসব কারখানা লোকসানে আছে, সেসব কারখানায় বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু লাভজনকভাবে পরিচালনা করতে নীতিগত জায়গায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে সফলতা পাওয়া যায়নি। সরকারের উচিত হবে কেপিএমকে মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসির অধীনে না রেখে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা।